
আজ চন্দ্রাবলী এমন একটি পদ নিয়ে হাজির হয়েছেন যা আদ্যন্ত নিরামিষ এবং কচুরি, রুটি, লুচি, পরোটা,খিচুড়ি, পোলাও এর সঙ্গে অনায়াসে খাওয়া যায়।
উপকরণ:
ছোট আলু(বাতাসার মতো মাপ)… আধা কেজি কড়াইশুঁটি… এক কাপ
টমেটো…একটি ছোট
টক দই… দুই টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো… এক চা চামচ
কাশ্মীরি লাল লঙ্কা গুঁড়ো… এক চা চামচ
ধনে বাটা… দুই টেবিল চামচ
জিরে বাটা… এক টেবিল চামচ
আদা বাটা…দুই চা চামচ
গোটা জিরে… এক চা চামচ
গোটা শুকনো লঙ্কা… দুইটি
হিং… ছোট একটি ডেলা গুঁড়ো করা
তেজপাতা… দুইটি
কাঁচা লঙ্কা… ছয়টি
গরম মশলা গুঁড়ো… এক চা চামচ
ঘি… দুই চা চামচ
সর্ষের তেল… চার টেবিল চামচ + এক টেবিল চামচ
নুন, চিনি স্বাদ মতো
ধনেপাতা কুচি… দুই টেবিল চামচ
প্রণালী :
আলু প্রেসার কুকারে জল ও এক চা চামচ নুন দিয়ে শুধুমাত্র দুইটি হুইসিল দিয়ে সেদ্ধ করুন। এবার আলু গরম থাকতে খোসা ছাড়িয়ে এক চা চামচ নুন ও হলুদ দিয়ে মেখে রাখুন। নতুন আলু সেদ্ধ করার পর গরম গরম খোসা ছাড়িয়ে নিতে হয় তা নয়তো আলু আঠালো হয়ে যায় আর খোসা ছাড়ানো মুশকিল হয়। পনেরো মিনিট মত আলু মেখে রাখুন। এর মধ্যে টমেটো,দুটি কাঁচা লঙ্কা ও দই একসঙ্গে ব্লেন্ড করে তার মধ্যে বাটা মশলা ও কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার কড়াইতে চার টেবিল সর্ষের তেল গরম করে এক চা চামচ চিনি দিয়ে ক্যারামেল করে আলু ঢেলে চড়া আঁচে মিনিট তিনেক মতো ভাজুন। আলুর গায়ে লাল দাগ ধরলেই তেল ঝরিয়ে নামিয়ে নিন। আলু ভাজার তেলে আরো এক টেবিল চামচ তেল দিয়ে গোটা জিরে, হিং, শুকনো লঙ্কা ও তেজপাতা একসঙ্গে ফোড়ন দিন। সুগন্ধ বেরুলে দই টমেটো ও মশলার পেস্ট ঢেলে মশলার বাটি ধুয়ে কোয়ার্টার কাপ গরম জল দিয়ে পাঁচ মিনিট ধরে কষান। মশলা থেকে তেল ছাড়লে আলু দিয়ে খুব ভালো করে মশলার সঙ্গে মিশিয়ে মিনিট দুই ভালো করে ভাজুন। এবার দুই কাপ গরম জল নুন, চিনি ও কড়াইশুঁটি দিয়ে ফুটতে বসান। জল প্রায় শুকিয়ে তেল ভেসে উঠলে চেরা কাঁচা লঙ্কা ও ধনেপাতা ছড়িয়ে কড়াই ঢাকা দিয়ে দিন।এবার দু’চা চামচ ঘি হালকা গরম করে তার মধ্যে গরম মশলা গুঁড়ো মিশিয়ে আলুর ওপর ঢেলে দিয়ে আবার কড়া ঢেকে দিয়ে পনেরো মিনিট রেখে দিন।তারপর নামিয়ে কড়াইশুঁটির কচুরির সঙ্গে পরিবেশন করুন