জয়েস ক্যারল ওটিসের উপন্যাস ‘ব্লন্ডি’। ৭০০ পৃষ্ঠার কাহিনিতে বাস্তব এবং তৈরি করা চরিত্রদের হাঁটাচলা নিয়ে মধ্যমনি বিংশ শতাব্দীর এক দুঃখের গল্প মেরিলিন মনরো। মনরোরি জীবন নিয়ে লেখা উপন্যাস নিয়ে নেটফ্লিক্সে ছবি তৈরি করেছেন পরিচালক এন্ড্রু ডমিনিকস। ছবিটি দর্শকরা দেখতে পাবেন আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর। গত বছর সর্বশেষ বন্ড মুভির নায়িকা হিসেবে কাজ করেছেন অভিনেত্রী আনা ডি আরমাস। তাকেই দেখা যাবে মনরোর চরিত্রে অভিনয় করতে।
মেরিলিন মনরোর তৃতীয় স্বামী ছিলেন বিখ্যাত নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক আর্থার মিলার। মনরোর সঙ্গে মিলারের প্রেম গড়ে ওঠার পর এফবিআই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলো সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ততার জন্য। এই ছবিতে মিলারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অ্যাড্রিয়ান ব্রুডি। মনরোর প্রেমিকদের তালিকায় সবচাইতে আলোচিত নাম হিসেবে ছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডী। আততায়ীর গুলিতে নিহত এই প্রেসিডেন্টের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা ক্যাসপার ফিলিপসন।
বিংশ শতাব্দীর এক আলোচিত নারী ছিলেন মেরিলিন মনরো। শুধু সিনেমার পর্দায় তিনি ঝড় হয়ে ছিলেন বিষয়টা এমন নয়। মনরো নামের সঙ্গে ষাটের দশকে জড়িয়ে গিয়েছিলো বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের নাম। মনরোর গভীর প্রণয়ে মুগ্ধ হয়ে তাঁর আগুনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন হেনরি মিলার। একাধিক বিয়ে, কেনেডীর সঙ্গে গোপন প্রণয়, মৃত্যুর পর উধাও লাল ডায়েরির রহস্য, অসাধারণ অভিনয় আর পুরুষের বুকে কামনার ঝড় তোলা মনরোর আত্মহনন আজও দু’টি শতাব্দী জুড়ে গবেষণার বিষয় হয়ে আছে। তাঁর জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে অনেকগুলো প্রশ্নবোধক চিহ্ন। এসব প্রশ্নের অনেকগুলোর আজও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তাই মেরিলিন মনরো আজও এক রহস্যে মোড়া নারী হয়েই থাকলেন ইতিহাসের পৃষ্ঠায়।
প্রাণের বাংলা ডেস্ক
তথ্যসূত্রঃ ভোগ
ছবিঃ গুগল