
চন্দ্রবলী বিশ্বাস
আমাদের হেঁশেলে সহজ ভাবে নিত্যদিন রান্না করা যায় এমন কিছু রেসেপি নিয়মিত দিচ্ছেন অনেকেই । এ গুলো আপনি যে কোন সময়ে চটজলদি করে ফেলতে পারেন। এবার কলকাতা থেকে রেসেপি পাঠিয়েছেন চন্দ্রাবলী বিশ্বাস। অবশ্য আপনার খেতে ভালো লাগবে। মুখের রুচিও বদল হবে।
উপকরণ :
বাঁধাকপি….একটি
ছোট চিংড়ি মাছ…. একশো পঁচিশ গ্রাম
টমেটো…. ছোট একটি
আলু…দুটি মাঝারি ডুমো কাটা
কড়াইশুঁটি…. আধা কাপ
হলুদ গুঁড়ো…. এক চা চামচ + কোয়ার্টার চা চামচ
শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো…. এক চা চামচ
ধনে গুঁড়ো…. এক টেবিল চামচ
জিরে গুঁড়ো…. এক চা চামচ
আদা বাটা…. এক চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা….দুটি চেরা
সর্ষের তেল…. দুই টেবিল চামচ + এক টেবিল চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো….. আধা চা চামচ
ঘি…. দুই চা চামচ
গোটা জিরে…. আধা চা চামচ
তেজপাতা….একটি
নুন, চিনি….. স্বাদ মতো
ধনেপাতা…. দুই টেবিল চামচ কুচোনো
প্রণালী :
চিংড়ি মাছ খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে জলে ধুয়ে ঝরিয়ে নিয়েছি। কোয়ার্টার চা চামচ নুন ও হলুদ গুঁড়ো মাখিয়ে মিনিট পনেরো রেখে কড়াইতে এক টেবিল চামচ সর্ষের তেল গরম করে তাতে ভেজেছি, মাছের জল শোকানো অবধি। এবার আর একটি কড়াই আঁচে বসিয়ে দু টেবিল চামচ সর্ষের তেল জ্বলিয়ে নিয়ে গোটা জিরে ফোড়ন দিয়েছি।সুগন্ধ বেরোলে ডুমো করা আলু একটু রং ধরা অবধি জোর আঁচে ভেজে ঝিরিঝিরি করে কাটা বাঁধাকপি দিয়ে মিনিট দুয়েক ভেজে আঁচ কমিয়ে কড়াই ঢেকে দিয়েছি।মিনিট পাঁচ পরে ঢাকা খুলে টমেটো কুচি নুন তেজপাতা ও সব মশলা মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়ে কড়াইশুঁটি দিয়ে আবার ঢাকনা দিয়েছি। মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে নেড়েচেড়ে যখন দেখেছি অল্প জল আছে তখন ভেজে রাখা চিংড়ি মাছ তেল শুদ্ধু মিশিয়ে আবার কড়াই ঢেকে দিয়েছি তার আগে চিনিও দিয়েছি। জল মরে তেল বেরুলে ঘি কাঁচা লঙ্কা গরম মশলা ধনেপাতা সব দিয়ে ভালো করে নেড়ে আঁচ বন্ধ করে কড়াই ঢাকা দিয়ে রেখছি। কম করে পনেরো মিনিট সময় দিতে হবে ফ্লেভার ধরার জন্য।তারপর গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করি।