ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর করতে, ঝুলে যাওয়া ত্বককে টানটান করতে কিংবা ত্বকের তারুণ্য ও সৌন্দর্য ধরে রাখতে আমরা টাকা খরচ করে অ্যান্টি এজিং ক্রিম বা সিরাম কিনি। কিনি নানা ধরণের কসমেটিক্সও।তারপরও আমরা তেমন ফল পাই না। সাময়িক ফল পাওয়ার পর আবারও আগের অবস্থায় ফিরে যায়।তাই ঘরে বসে কিভাবে ফেসিয়াল মাস্ক তৈরি করার কৌশল জেনে নিন। আলাদা আলাদা ধরনের ত্বকের জন্য এখানে পাঁচ রকম অ্যান্টি এজিং ভেষজ ফেসিয়াল মাস্ক তৈরীর উপাদান ও প্রস্তুত প্রণালী দেয়া হলো।এখন আপনি তৈল করুণ এবং আপনার ত্বকের ধরন বুঝে কাজে লাগান যে কোনও একটা আর উপকার পান হাতেনাতে।
সাধারণ ত্বকের জন্য
উপকরণ: ২ চামচ মধু, ২ চামচ অ্যাভোকোডা, ১টা ডিমের কুসুম।
প্রণালী : সবকটি উপাদান একসঙ্গে নিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করুন বা ভাল করে চটকে মেখে নিন। আপনার পরিষ্কার করে ধোয়া মুখের ত্বকে এই পেস্টটি মেখে অন্তত ০-২৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
শুষ্ক ত্বকের জন্য
উপকরণ: ১ চামচ দই, ১ চামচ মধু আর আধা চামচ আমন্ড অয়েল,১টি ডিমের কুসুম, ।
প্রণালী : একটি বড় পাত্রে সবকটি উপাদান একসঙ্গে নিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন, যত ক্ষণ না এটি আঠালো আর গাঢ় হচ্ছে। এ বার এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে অন্তত ১০ মিনিট রেখে সাবান দিয়ে মুখ ভাল করে ধুয়ে নিন।
অয়েলি ত্বকের জন্য
উপকরণ: অর্ধেক গাজর আর আধা চামচ মধু।
প্রণালী: গাজর ভাল করে সিদ্ধ করে, চটকে পেস্ট বানিয়ে নিন। এ বার এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে মিনিট দশেক ফ্রিজে রেখে দিন। এর পর মুখ ধুয়ে এই পেস্ট আপনার পরিষ্কার করা ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিয়ে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
সংবেদনশীল ত্বকের জন্য
উপকরণ: আধা চামচ মধু, ১টি পাকা কলা (চটকানো), দুধ দিয়ে সিদ্ধ করা ১ কাপ ওটমিল, ১টা ডিম।
প্রণালী: সবকটি উপাদান একসঙ্গে নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে আপনার ত্বকে সমান অনুপাতে লাগান। ১০-১৫ মিনিট মাস্কটি রেখে উষ্ণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
সব ধরনের ত্বকের জন্য
উপকরণ: ১ চামচ মধু, ৩ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েল।
প্রণালী: উষ্ণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিয়ে এই দুটি উপাদান ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকের উপর মাস্কের মতো লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট রেখে আবার উষ্ণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। অ্যান্টি-এজিং ফেসিয়াল মাস্ক হিসেবে এই মাস্কটি সব ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রেই খুব উপকারি।
তথ্যসুত্র: ইন্টারনেট
ছবি: গুগল