ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২৭

সাগর চৌধুরী

লেখক, কলকাতা থেকে

প্রকাশ: 1 Sept 2022

2320 বার পড়া হয়েছে

Shoes

বিশিষ্ট সাংবাদিক সাগর চৌধুরী। একদা কর্মরত ছিলেন বিবিসি’র বাংলা বিভাগে। তারও আগে কলকাতার বিভিন্ন পত্রিকা এবং বার্তা সংস্থায়। একদা নানান কাজের ভিড়ে বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য ইংরেজি সাবটাইটেল রচনার কাজও করেছেন। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, তরুণ মজুমদার, নব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালকদের সিনেমায় তিনি ছিলেন সাবটাইটেল লেখক। এখন এক ধরণের অবসর জীবন যাপন করছেন। বসবাস করেন কলকাতা শহরে। সাংবাদিকতার সঙ্গে সম্পর্ক বেশ কিছুটা মেরুদূর হলেও কলম থেমে যায়নি। বই লিখছেন, অনুবাদ করছেন। সাগর চৌধুরী জীবনকে দেখেছেন নানান কৌণিকে আলো ফেলে। দীর্ঘদিন বিলেতে ছিলেন। ঘুরেওবেড়িয়েছেন নানান দেশে। জীবনও তাকে দেখেছে খুব কাছে থেকে। সেই জীবনপ্রবাহের গল্প শোনাতেই প্রাণের বাংলার জন্য কলম ধরলেন সাগর চৌধুরী। প্রাণের বাংলার পাতায় এখন থেকে জীবনের গল্প বলবেন তিনি।

সাতাশ.

আশির দশকের মাঝামাঝি আমি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস্-এর বাংলা বিভাগের প্রযোজক-পরিবেশকের পদে যোগ দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছি। ‘তোড়জোড়’ বলতে বিদেশযাত্রার জন্য বিমানের টিকিট ও ‘ভিসা’ হাতে পাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া (এই দু’টি জিনিষের ব্যবস্থা অবশ্য বিবিসি’র তরফেই করা হয়েছিলো), ভারত সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের কলকাতা দফ্তর থেকে ‘ওয়ার্ক পারমিট্’ বা বিদেশে কাজ করার ছাড়পত্র সংগ্রহ করা, বিবিসি’র নির্ধারিত স্থানীয় ডাক্তারের কাছ থেকে ‘হেলথ্ সার্টিফিকেট’ জোগাড় করা ইত্যাদি। এই সঙ্গে ছিলো বিবিসি’র সঙ্গে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিক চিঠিপত্র আদানপ্রদান। তখন তো ইন্টারনেট্ ছিলো না এবং বিদেশে টেলিফোন করাও ছিলো যথেষ্ট ঝামেলার ব্যাপার। তাই এ’সব ব্যাপারে সরকারী ডাকবিভাগের উপরেই ভরসা করতে হতো এবং সব কিছুই ছিলো সময়সাপেক্ষ। কিছু জরুরী উপদেশ বা পরামর্শ সম্বলিত একটি চিঠিতে বিবিসি জানিয়েছিলো, আপনি যদি বিদেশের এমন কোন শহরের বাসিন্দা হয়ে থাকেন যেখানে দৈনন্দিনজীবনে সাধারণ অপরাধের হার বা মাত্রা নগণ্য, তাহলে আপনার জেনে রাখা ভালো যে ‘কস্মোপলিট্যান’ (অর্থাৎবহুজাতিক) লন্ডন শহরে এই জাতীয় অপরাধ বা দুষ্কৃতিদেও অনুপাত উল্লেখযোগ্য। অতএব এখানে বসবাস করার সময় এই পরিস্থিতিতে অভ্যস্ত না হয়ে ওঠা পর্যন্ত আপনার উচিত হবে উপযুক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা।

এখন, ‘দৈনন্দিন জীবনে সাধারণ অপরাধ’ বলতে ঠিক কী বোঝায়? ছিঁচকে চুরিচামারি? পথেঘাটে, বাসে বা লোক্যাল ট্রেনের ভীড়ে পকেটমারি? গলিঘুঁজিতে ছিনতাই? আমাদের দেশে, অন্যান্য শহরের মতো কলকাতাতেও, এ’সবের সঙ্গে আমরা অপরিচিত নই মোটেই।আমাদের অনেকেই এই ধরনের তস্করবৃত্তির শিকার হয়েছি বিভিন্ন সময়ে। কেউ কেউ, যেমন আমি নিজে, একাধিকবার। অবশ্য অপুরণীয় ক্ষতি হয়নি আমার কোনবারই।

পকেটমারির মতো হামলার ভুক্তভোগী হয়েছি দেশে ও বিদেশে কয়েকবারই। প্রথমবার, যত দূর মনে পড়ে কয়েক দশক আগে, উত্তর কলকাতা থেকে মধ্য কলকাতাগামী বাসযাত্রায়। সকাল সাড়ে-সাতটা নাগাদ আমার বাড়ির সামনের বড় রাস্তায় বাসে উঠেছি, বসার জায়গা না পেয়ে দাঁড়িয়েই আছি আরো বেশ কয়েকজনের মতোই। আমার পরনে ছিলো পাজামা আর পাঞ্জাবি, কাঁধে ঝোলা ব্যাগ, পাঞ্জাবির পাশ-পকেটে কিছু দরকারী নাম-ঠিকানাও টেলিফোন নম্বর লেখা একটা ছোট নোটবই। গন্তব্যে পৌঁছে বাস থেকে নেমে হাঁটতে হাঁটতে পকেটে হাত ঢুকিয়ে টের পেলাম নোটবইটা উধাও। নির্ঘাত পকেটমারি বাসের ভেতরেই! দোষ বোধ করি আমার নিজেরই, ওটাও কাঁধে ঝোলানো ব্যাগের ভেতরেই রাখা উচিত ছিলো যেমন রেখেছিলাম মানিব্যাগটা সাবধানে। নোটবইটা খুইয়ে কিছুটা ঝামেলা তো হলোই, কারণ তাতে লেখা নাম-ঠিকানা আর টেলিফোন নম্বর আবার যোগাড় করতে হলো ক’দিনের চেষ্টায়। কিন্তু তার তুলনায় পকেটমারের তো প-শ্রমই সার হলো। বেচারার সেদিনের বউনিটাই ডাহা মাঠে মারা গেলো। নিশ্চয়ই অভিসম্পাত দিয়েছিলো আমাকে পাঞ্জাবির পকেটে টাকাকড়ির ব্যাগের বদলে হিজিবিজি লেখা নোটবই রাখার মতো অবিমৃষ্যকারী আচরণের জন্য। তবে ঐ অভিসম্পাতের কোন প্রভাব আমার ওপরে আদৌ পড়েছিলো কিনা টের পাইনি।

এর পরেও পকেটমারের বা হাতসাফাইয়ের শিকার হয়েছিবার তিনেক, দু’বার বিদেশে আর তৃতীয়বার দেশেই। প্রথমবার খাস লন্ডনে, ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ বা পাতাল রেলে ভ্রমণের সময়। তবে এটাকে বিশুদ্ধ পকেটমারির ঘটনা বলা যাবে না হয়তো।এক সন্ধ্যায় অফিসফেরত যাত্রীদের ঠাসা ভীড়ে ভরা ট্রেনের কামরায় দাঁড়িয়ে আছি।কাঁধে ঝোলানো ছিলো একটা চামড়ার ব্যাগ যার মধ্যে কিছু কাগজপত্রের সঙ্গে আমার পার্স-টাও রেখেছিলাম। ব্যাগের মুখের ‘জিপার’ অবশ্যই ঠিকমতো টানা ছিলো। মিনিট চল্লিশ পর আমার নির্দিষ্ট স্টেশনে নেমে বাইরে যেতে যেতে হঠাৎ চোখে পড়লো ব্যাগের মুখটা আধখোলা এবং, খুব স্বাভাবিকভাবেই, পার্স-টা ভেতরে নেই। এবার কিন্তু এই হাতসাফাইয়ের ঘটনায় খানিকটা আর্থিক ক্ষতি Ñ কতটা ঠিক মনে নেই এখন, তবে পঁচিশ-ত্রিশ পাউন্ড হবে Ñ মেনে নিতেই হলো। সৌভাগ্যক্রমে পার্স-এর ভিতর নগদ টাকা ছাড়া আর কিছু, যেমন ব্যাংকের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড অথবা জরুরী কোন কাগজ,সচরাচর আমি রাখতাম না, আজও রাখি না,বিশেষত জনপরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহার করার সময়ে। তাই নগদ অর্থদ- ছাড়া আর কোন রকম ক্ষতি ঐ ঘটনায় আমার হয়নি।

একই ধরনের দ্বিতীয় অভিজ্ঞতা আমার হয়েছিলো লন্ডনে নয়, ফ্রান্সের প্যারিস শহরে। সেবার বোধহয় ঊর্মিরআর আমার প্রথমবার এক সাথে প্যারিস ভ্রমণ, যা নিয়ে বন্ধুবান্ধবের সরস মন্তব্য: ‘বিলেটেড হানীমুন’ Ñ বিলম্বিত মধুচন্দ্রিমা, কারণ এই সফরটি ছিলো আমাদের বিয়ের বছর দেড়েক পরের।আমাদের পরিচিত কয়েকটি বাঙালি ছেলে ঐ সময়ে প্যারিসে থাকতো। তাদের দু-তিনজন মিলে ঐ শহরে একটা ‘ভারতীয় রেস্তোরাঁ’ খুলেছিলো, নাম দিয়েছিলো ‘রূপসা’। তারাই প্যারিসে ক’দিনের জন্য আমাদের থাকার জায়গা ঠিক করে দিয়েছিলোরু দ্য পিগ্যাল নামে একটি রাস্তায়, বিখ্যাত সেক্রেড হার্ট গির্জার অনতিদূরে। প্রসঙ্গত, এই ‘পিগ্যাল’ এলাকাটি প্যারিস শহরের সুবিখ্যাত এবং গোটা ইয়োরোপে সুপরিচিত ‘রেড লাইট এরিয়া’ (আশা করি এই শব্দবন্ধের অর্থ পাঠকদের কাছে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই)।

সে’বার প্যারিসে আমরা ছিলাম সাত-আট দিন। রোজই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অক্লান্তভাবে শহরের দর্শনীয় স্থানগুলিতে ঘুরেছি, জগদ্বিখ্যাত মিউজিয়াম আর আর্ট গ্যালারীগুলিতেযতটা সম্ভব সময় কাটিয়েছি। সন্ধ্যার পর শ্রান্ত দেহে অথচ তৃপ্ত মনে আমাদের অস্থায়ী আস্তানায় ফিরেছি, কখনোবা ‘রূপসা’য় ডিনার খেতে খেতে বেশ রাত অবধি আড্ডা দিয়েছি। প্যারিস শহরের জনপরিবহন ব্যবস্থা খুবই সুশৃঙ্খল, বিশেষ করে পাতাল রেল, যে কেউ সহজেই এটার ব্যবহারে সড়োগড়ো হয়ে যেতে পারে। ঐ সময়ে আমাদের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু, প্রখ্যাত মূকাভিনেতা পার্থপ্রতীম মজুমদার (বাংলাদেশের), প্যারিসের স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন। যতদূর জানি তিনি এখনও সেখানেই থাকেন, শহরের উপকণ্ঠে ‘ভার্সাই’ নামক জায়গাটিতে। তাঁর বাড়িতেও গিয়েছি দু-তিনবার আড্ডা সহযোগে মধ্যাহ্নভোজনের আমন্ত্রণে সাড়া দিতে।এক সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি অনুষ্ঠানে তাঁর পরিবেশিত মূকাভিনয় খুবই উপভোগ করলাম। পরে একবার পার্থ লন্ডনেও অনুষ্ঠান করেছিলেন, সেখানেও আমরা উপস্থিত ছিলাম বলা বাহুল্য।

এ’রকমইএকবার সারা দিন ঘোরার পর সন্ধ্যায় আমাদের আস্তানায় ফেরার জন্য একটা পাতাল রেল স্টেশনে ঢুকেছি। এস্কেলেটার দিয়ে নিচের প্ল্যাটফর্মে নামছি, ঊর্মি এক ধাপ সামনে, আমি ওর পিছনে, আমার ঠিক পিছনে দু-তিনটি যুবক। আচমকা একটি যুবকের হাত থেকে কী একটা জিনিষ আমার পায়ের কাছে এসে পড়লো আর সে-ও আমার পাশ ঘেঁষে আমাকে হালকা ধাক্কা দিয়ে নিচু হয়ে জিনিষটা কুড়িয়ে নিয়েই র্তর্ত করে নিচে নেমে গেলো, তার পিছন পিছন অন্য দু’জনও। আমি কিছু বুঝে উঠবার আগেই তারা এক দিকে অদৃশ্য হয়ে গেলো আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আমি টের পেলাম আমার পরনের ট্রাউজারস্-এর হিপ্-পকেট থেকে আমার পার্স-ও অদৃশ্য হয়ে গেছে। কেন যে ঐ পকেটেই পার্স রেখেছিলাম কে জানে! আর কোন দিন যেটা করি না সেটাই করেছিলাম সেদিন Ñ পার্সে টাকা ছাড়াও গুঁজে রেখেছিলাম ব্যাংকের ডেবিট কার্ড। ফরাসীদের সৎ স্বভাবের উপরে আমি কি ইংরেজদের তুলনায় বেশী আস্থা রেখেছিলাম? অনেকটা প্রায় মরণকালে বুদ্ধিনাশ হওয়ার মতো অবস্থা আর কী! অসাবধানতার প্রতিফল হাতে হাতে পেলাম।

যাই হোক, আমাদের আস্তানার কাছের স্টেশনে নেমে ঘরে ঢোকার বদলে প্রথমে ‘রূপসা’ রেস্তোরাঁয় গিয়ে ছেলেদের সব খুলে বললাম, তারপর রেস্তোরাঁর টেলিফোন থেকে (তখনও মোবাইল ফোনের যুগ শুরু হয়নি) লন্ডনে আমার ব্যাংকের ২৪ ঘন্টার হেল্পলাইনে ফোন করে যা ঘটেছে তার বিস্তারিত বিবরণ দিলাম। সব শুনে ব্যাংকের কর্মী বললেন: ডেবিট কার্ড হারানো নিয়ে চিন্তার কিছু নেই, আমরা এখনই ঐ কার্ড ‘ব্লক’ করে দিচ্ছি আর তোমার নতুন কার্ডও তৈরী করে রাখছি। তুমি লন্ডনে ফিরেই পেয়ে যাবে। তবে তোমার পার্সে যে টাকা ছিলো তা তো আর ফেরত পাবে না। তোমার এই ক্ষতির জন্য দুঃখিত।

হারানো, আসলে পকেটমারি হওয়া, পার্সে ছিলো ফরাসী মুদ্রায় খুব সম্ভব ৫০ ফ্রাঁ’র মতো, ব্রিটিশ মুদ্রার হিসাবে মোটামুটি ৩০ পাউন্ড। তেমন বিরাট অংকের ক্ষতি হয়তো নয়, তবে প্রায় তিন দশক আগেকার মূল্যমান অনুসারে খুব একটা কমও নয়। আরো বড় ক্ষতি অবশ্য হতেই পারতো। সেই থেকে পার্সের ভিতর কী রাখবো বা না রাখবো আর কোথায় পার্স রাখবো সে’ব্যাপারে আমি আরও সতর্ক হয়ে গিয়েছি। এই ঘটনার তিনচার দিন পর লন্ডনে ফিরে বাড়ি ঢুকেই দেখলাম নতুন ডেবিট কার্ড ভরা ব্যাংকের খাম আমার জন্য অপেক্ষা করছে।

এর পরের পকেটমারির, আদতে ‘ব্যাগমারির’, অভিজ্ঞতা হলো কয়েক বছর বাদে, নতুন দিল্লীতে ‘মেট্রো’ বা পাতাল রেলে ভ্রমণের সময়। দক্ষিণ দিল্লীতে যে বন্ধুদের অতিথি হয়েছিলাম আমরা, তাদের বাড়ির কাছাকাছি মেট্রো স্টেশন থেকে একদিন ট্রেনে উঠেছি, গন্তব্য কনট্ প্লেস। আমার কাঁধে অভ্যাসমতো ব্যাগ ঝোলানো। কামরায় তেমন ভীড় নেই, বসার জায়গাও পেয়েছি দু’জনে। কিন্তু কনট্ প্লেসে নামার ঠিক আগে কেন জানিনা দরজার মুখটায় একটা জটলার মতো হয়ে গেলো। সামান্য ঠেলাঠেলি করে নামতে পারলাম অবশ্য। স্টেশন থেকে বেরিয়ে জনপথ মার্কেটের দিকে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ নজরে এলো কাঁধের ব্যাগের চেইনটা খোলা। তখনই বুঝে গেলাম এটা নির্ঘাত পকেটমার বা ‘ব্যাগ’মারের হাতের খেলা!সত্যিই ব্যাগের ভেতরে রাখা মোবাইল ফোনটা উধাও। আমার প্রিয় ‘ব্ল্যাকবেরী হ্যান্ডসেট্’ (তখনও স্মার্টফোন বাজারে আসেনি)। ব্ল্যাকবেরী সে’সময়কার বেশ অভিজাত ফোন। শুনেছিলাম যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামারও প্রিয় ছিলো এই ফোন এবং রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তিনি নাকি তাঁর জন্য বরাদ্দ সরকারী হ্যান্ডসেট্ (যেটা ব্ল্যাকবেরী ছিলো না) প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট অর নো প্রেসিডেন্ট, আই অ্যাম নট গিভিং আপ মাই ব্ল্যাকবেরী। আমার নিজেরও অভ্যস্ত ব্ল্যাকবেরী ফোন হারিয়ে যথেষ্টই মন খারাপ হয়েছিলো। যাই হোক, দিল্লীতে আরও যে ক’দিন ছিলাম, মোবাইল ফোন ছাড়াই চালিয়েছি।কলকাতায় ফেরার পর ব্ল্যাকবেরী অবশ্য কোন দোকানে পাইনি, সেটার জন্য লন্ডনে ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিলো। কোন অজ্ঞাত কারণে আজকালকার স্মার্ট ফোনের বাজারে এই চমৎকার ফোনটি অনুপস্থিত, অন্তত আমাদের দেশে। (ক্রমশ:)

মন্তব্য করুন

Share Article

আরো পড়ুন

আরো পড়ুন

স্বত্ব © ২০১৬ - ২০২৩ প্রাণের বাংলা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: আবিদা নাসরীন কলি।

Email: Article: amar@pranerbangla.com, Avertising: ad@pranerbangla.com

Phone: +8801818189677, +8801717256199