বারান্দায় দাঁড়িয়ে আজো কি কেউ আকাশ দেখে? নির্জনতা বাতাসের মতো ছুঁয়ে যায় কাউকে? সময় একা করে দিয়েছে আমাদের বারান্দাগুলোকে। এখন ইট-কাঠে তৈরী বিশাল দানবসম বাড়ির গায়ে ঝুলে থাকা বারান্দা যেন এক নিঃসঙ্গ চরিত্র। অথচ একদিন এই বারান্দার ছিলো অনেক গল্প। বারান্দায় জমা থাকতো আমাদের আনন্দ অথবা মন খারাপের দিনলিপি। থাকতো মুখোমুখি বসিবার অবসর, থাকতো ভোরবেলা সংবাদপত্র, নিঃসঙ্গ ডাকবাক্স, ঘুরে যেতো ফেরিওয়ালার ডাক। কখনো বাগান থেকে ভেসে আসা ফুলের গন্ধ। শহরের বারান্দা এখন নির্জনতাকে অর্জন করে একা। সেখানে কখনো তার সঙ্গী ভেজা কাপড়, সামান্য সবুজ অথবা পাখিদের চকিতে আসা-যাওয়া। এবার প্রাণের বাংলার প্রচ্ছদ আয়োজনে রইলো সেই বারান্দা নিয়ে নানা মানুষের ভাবনার কথা। লিখেছেন অভিনয় শিল্পী, লেখক আর সঙ্গীত শিল্পীরা।
আমার যাবার বেলায় পিছু ডাকে
আমাদের সমাজে একটি কথার প্রচলন আছে না যে ‘দুধের চেয়ে মাখনের স্বাদ বেশী।’ তেমনি আমার ঘরের চেয়ে বারান্দা প্রিয়।দাদার বাড়ি নানার বাড়িতে সব ঘরের সঙ্গেই বারান্দা ছিল।চারচালা টিনের ঘরে যেমন থাকে।নানাভাইয়ের শোবার ঘরের বারান্দার জলচৌকিতে নানাভাই নানীবুজী একসঙ্গে নামাজ পড়তেন। আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতাম।কি অপূর্ব দৃশ্য! নানীবুজী এখানে বসে পান খেতেন। জায়গাটি খুবই প্রিয় ছিলো আমার।আর দাদাবাড়ির প্রধান ঘরের বারান্দা ছিলো বাইরের দিকে।সত্যিকার অর্থে বারান্দাটাই ছিলো বৈঠকখানা। খুব সাধারণ চেয়ার পাতা ছিলো।বিধবা দাদীমা বাইরের লোক আসলে সেখানেই চা নাস্তা দিতেন। কিন্তু এ বারান্দাটিও আমার কাছে প্রিয় ছিলো বারান্দার পাশেই ছিলো বিশাল গোলাপের ঝাড়।ঝাড় না বলে বৃক্ষ বলাই ভালো কারণ সেটা আমগাছের সমান বড় ছিলো। আমি অযথাই বারান্দার চেয়ার বা বেঞ্চিতে বসে গোলাপের গন্ধ নিতাম, তাকিয়ে থাকতাম আর ভাবতাম ক্যালেন্ডারে ঝোলানো অহংকারী রবীন্দ্রনাথ যদি এখানে নেমে আসতেন অথবা ঝাঁকড়া চুলের রাগী নজরুল? তখনই কি তাঁদের প্রেমে পড়েছিলাম? জানিনা! ওই বারান্দায় কখনো ঘুমিয়ে যেতাম। আম্মা কোলে তুলতে তুলতে গালে হালকা মোচড় দিয়ে বলতেন, ‘এই মেয়ে বারান্দায় কি পাইলো?’ কেউ হয়তো বলতো বারান্দায় ঘুমালে ঠিক একদিন ভুতে ধরবে! আমাকে ভুতে ধরা এতো সোজা না হাহাহা। আমাদের মাদারটেক বাসার ঘরেও বারান্দা ছিলো।আম্মা খুব সুন্দর করে লেপে রাখতেন।বারান্দায় যেখানে টিনের চালের পানি পড়ে, একেবারে মার্জিনাল জায়গাটা, ওখানে বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে কি সুন্দর ডিজাইন হতো? বৃষ্টি শুরু হলে আমি চেয়ে চেয়ে দেখতাম । সেই বারান্দার কোনে একটা আয়না ঝোলানো থাকতো। আব্বা ওখানে দাড়িয়েই সেভ করতেন। আব্বার নিজে হাতে বানানো কার্ডবোর্ড এর সেভিং কিট বক্স দিয়ে আব্বা কিভাবে যেন আয়নার কাছে নুয়ে সুনিপুণ হাতে সেভ করতেন। বাকী সময় ওই আয়না আমার দখলে।যেতে একবার আসতে একবার। ফিরে যেতে গিয়েও ঝুঁকে আরেকবার নিজেকে দেখতাম আর ভাবতাম ‘আরে! আমি যে সুন্দর কেউ বলেনা কেন।, এই ভেবে আরেকবার আয়নায় দাঁড়াতাম।একবার মেঝো মামা এসে আম্মাকে বললেন বুজি আপনার এই মেয়ের নাক তো একদম দাদার (আব্বা তাদের কাজিন) নাকের মত হয়ে যাচ্ছে! মেয়েদের নাক এতো মোটা হলে কেমন হয়?ওই কথা শুনে আমি আর অনেক দিন আয়না দেখিনি।আয়নার নীচে বারান্দার খুঁটির কাছে জেদ করে বসে থাকতাম অভিমান না কমা পর্যন্ত! এই মাদারটেক এর বাসাতেই বন্যার পানি এসে ঘরবাড়ি ডুবে যেতো। তখন এই বারান্দাতেই বসা, খাওয়া, গান সাধনা, আব্বার জন্য অপেক্ষা, সবই চলতো। বিয়ের পর আমার হাজব্যান্ড নিয়ে গেলেন তাদের ফেলে আসা পৈতৃক জমিদার বাড়িতে। বাড়ি দেখবো কি লাল ইটের দালানের সামনে ভেতরের বারান্দার মোটা মোটা কারুকার্য করা খাম্বা দেখেই কূল পাইনা।এক মুহুর্তের জন্য হলেও বাবার বাড়ির টিনের ঘরের বারান্দার কথা মনে হলো, সঙ্গে এ-ও মনে হল হোক টিনের চালের বারান্দা তবু ওটাই আমার স্বর্গ । এখন আমার বাসার যে বারান্দা সেটা আসলেই আমার অক্সিজেন বক্স এবং সাপ্লাইকারী।কত রকমের গাছ, মাছ, কাছিম সেখানে , দিনের অনেকটা সময় আমার সেখানেই কাটে। কখনো কখনো আমার গাছের ফুল ফলে চড়ুই টুনটুনি এমনকি বুলবুলি ও আসে।গর্বে বুক ভরে যায় আর ভাবি আমি পারি, আমি অবশ্যই পারি, আরো পারবো। মাঝে মাঝে বারান্দা পরিষ্কার করে নাতনী জুওয়াইরিয়া কে নিয়ে খেলতে বসি আর ভাবি যেদিন চলে যাবো তখন কি এই বারান্দা দিয়ে কেউ শেষ চলে যাওয়া দেখতে এই গ্রীলের ফাঁকে উঁকি দেবে? কতটুকু পথ পর্যন্ত সে দেখতে পাবে আমার এই একমুখী যাওয়া?
হাসপাতালের বারান্দায় সেই মেয়েটি
ছোটবেলায় বারান্দায় তিন চাকার বেবি সাইকেল চালাতাম। শীতকালে বারান্দার রোদে বসে বই পড়া, গল্প, অনেক স্মৃতি বারান্দা নিয়ে। অনেক বছর আগের কথা। আমি তখন কলেজের ছাত্র। দাদা ভর্তি হলেন তৎকালীন পিজি হাসপাতালে।আমি রাতে দাদার সঙ্গে থাকতে যাই। দাদার কেবিনটা ছিলো হাসপাতালের মূল ভবনের পাঁচ তলায়। সেখানে সারবাঁধা কেবিনের সামনে বিশাল চওড়া বারান্দা।আমি পড়ার বইপত্র নিয়ে যাই। রাতে বই পড়ি, বারান্দায় পায়চারী করি। সেই বারান্দার উল্টোদিকের ভবনের বারান্দায় তখন এসে দাঁড়াতো হাসপাতালের একজন স্থায়ী চিকিৎসকের মেয়ে। তার সৌন্দর্য্ আমাকে মোহিত করেছিলো।কিছুদিনেই তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ গড়ে উঠলো। আমরা হাতের ইশারায় কথা বলতাম। কখনো তাকে ডাকতাম। কিন্তু সে কখনোই আসেনি অন্য বারান্দায়।
জীবনে বারান্দার ভূমিকা আসলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলাম। সেখানে ছাত্রাবাসের বিশাল ত্রিভুজ আকৃতির বারান্দা।ত্রিভুজের এক রেখায় বসে আমরা বিপরীত রেখায় থাকা বন্ধুদের সঙ্গে চিৎকার করে কথা বলতাম অন্ধকারে। তারাও সাড়া দিতো। আরেকটু বয়স বাড়তেই বারান্দা আবার অন্যভাবে ধরা দিলো আমার কাছে। তখন আকাশে চাঁদ উঠলে, জোৎস্না ছড়িয়ে পড়লে বারান্দায় গিয়ে বসি। এখন তো ফ্ল্যাট বাড়িতে বারান্দার কালচারটাই উঠে গেছে। বারান্দাকে ঘিরে সেই আগের সময়ের ভালোলাগাগুলো হারিয়ে গেছে।
বারান্দা নিয়ে যতকথা
আমার মনের ঘরের ঠিকানা হলো বারান্দা। নিঃশ্বাস ফেলার একফালি আশ্রয়। খারাপ থাকার সুযোগ নেই এখানে। মনটা অজান্তেই ফুরফুরে হয়ে যায়। ঘুম থেকে উঠে জানালার পর্দা সরিয়ে দিনের আলোকে আমন্ত্রণ জানাই। তারপর চলে যাই বারান্দায়। বুকভরে নিঃশাস নিয়ে আকাশটাকে দেখি। দেখি সুদূরে সবুজ হাতছানি। বাসা বদলের সময়ও আমি একটুকরো বারান্দা খুঁজি। বারান্দাপ্রীতি আমার সবসময় ছিলো। আনমনে কিছুক্ষণ বসে থাকার জন্য। আমাকে যারা ভালোবেসে চলে গেছে তাদেরই কেউ একজন বলেছিল, ঘর লাগোয়া একটুকরো বারান্দা রেখো। অন্ততঃ নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলার জন্য। নিজের সঙ্গে তো নিজে কথা হয় না, আসলে সব কথারা এসে ভিড় করে এই বারান্দায়। সকাল, বিকেলের মুহূর্তগুলো এভাবেই কেটে যায়। আমাদের অনেকের সঙ্গে অনেককিছুর অমিল হয়। কিন্তু মনের মিলটা পাই এই বারান্দায়। নিজেকে হারিয়ে খুঁজি ফিরি এইখানে। আমি ঘুরে বেড়াতে খুব পছন্দ করি। সাগর, পাহাড়, নদী, প্রান্তর; যে কোনো জায়গায়ই ছুটে চলা আমার নেশা। যখন আর কোথাও যাওয়া হয়না তখন বারান্দার আরাম কেদারায় হেলান দিয়ে হারিয়ে যাই। আমি নিঃসঙ্গ নই। এই শূন্যঘরের পাশে একটুকরো বারান্দা যে আছে আমার!
যাপিত জীবনের একটুকু আনন্দ
বারান্দা আমার পাহাড়। বারান্দা আমার সমুদ্দুর। আমি যখন ঘরে থাকতে থাকতে হাঁফিয়ে উঠি, যেহেতু এখন চাকরিবাকরি করি না, বেশির ভাগ সময়ই থাকি বাসায়ই, স্বভাবতই ঘর থেকে মন মাঝে মধ্যেই ছুটে যেতে চায় বাইরে, কিন্তু বাইরে আজ এতটাই জঞ্জাল যে, কোনো না কোনো কারণ ঘটে মন-খারাপের, মানুষের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতো উঠে গেছে সেই কবেই, তাই মুক্ত নিঃশ্বাস নিতে বারান্দাই আমার শেষ অবলম্বন, যদিও সে বারান্দাও নাগরিক জীবনের ছকে প্রায়শই বন্দী থাকে কাপড়শুকানোর প্রক্রিয়ার হাতে, তবু যতটুকুই ওকে পাওয়া যায়- সে আমার নিজের সঙ্গে কথা বলার এতটুকু অবসর! যাপিত জীবনের একটুকু আনন্দ!বারান্দার সঙ্গে যে আমার প্রেমটা ঠিক কবে থেকে শুরু হয়েছিল বলতে পারবো না। তবে, সেটা যে বৃষ্টিভেজা কোনো বর্ষার দিন হবে, তাতে কোনোই সন্দেহ নেই। কেননা ছেলেবেলার স্মৃতি ভেসে ওঠলেই আমার মনে পড়ে যায়, একলা একটা শিশু বারান্দার থামেতে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখছে, মাঝে মধ্যে হাত বাড়িয়ে অঞ্জলিতে নেয়ার চেষ্টা করছে বৃষ্টির পানি। এই বৃষ্টিই আমাকে আমাদের দাদাবাড়ির বারান্দায় ঠায় দাঁড়িয়ে রাখতে বাধ্য করতো। আর আমাদের সেই পুবঘরের বারান্দায় দাঁড়ালেই দেখা যেত পশ্চিমের ঘরের বারন্দায় দাঁড়ানো মেজোচাচাকে, হয়তো অপেক্ষায় থাকতেন কখন বৃষ্টি থামবে, কখন বেরোতে পারবেন বাইরে। উত্তরের ঘরের বারান্দাটাও চোখে পড়তো। ও-ঘরে থাকতেন বড়চাচারা। বৃষ্টি এলে ওদের ঘরেরও কেউ না কেউ এসে ঠিক ঠিক এসে দাঁড়াতো বারান্দায়। বৃষ্টি যেন তিন শরিককে চোখাচোখি করিয়ে দিত ক্ষণকালের জন্য। তবে, আমার সেই শৈশবেই তিন শরিক যখন ভাগাভাগি বা ভিন্ন হয়ে গেল, আমাদের সেই পশ্চিমমুখো বারান্দাটার অপমৃত্যু ঘটলো। সে-বারান্দায় ঘর তোলায় শরিকদের মুখ দেখাই হয়ে গেল বন্ধ। তবে পুবপাশে তৈরি হলো নতুন বারান্দা। নতুন করে সাজানো গোছানো সেই সংসারে আবারো আমি বৃষ্টি এলে পুব-বারান্দায় ছুটে যাই বটে, সন্ধ্যা এলে আকাশের রঙ দেখি ঠিকই- কিন্তু শরিকদের কারো সঙ্গেই আর চোখাচোখি হয় না। তবে তার জন্য যে একাকিত্ব বোধ জাঁকিয়ে ধরে, তাও নয়। কেননা, সে বারান্দায় দাঁড়ালেই এতকিছু হামলে পড়তো আমার চোখের সামনে- বিশাল আকাশতো আছেই, আকাশের শরীরেও ছড়িয়ে থাকে কত না আকাশ- আমি কতো কতো সন্ধ্যারাতে যে সে বারান্দায় দাঁড়িয়ে তারা দেখে কাটিয়েছি, তার গল্প কখনো শেষ করা যাবে না। ওই যে দেখা যায় কালপুরুষ। আর ওই যে আরো দূরে ছায়াপথ, খুব আবছা- ওই কি অ্যানড্রোমিডা নেবুলা? নাকি ট্রায়ানগুলাম, নাকি স্পাইরাল গ্যালাক্সি? আমার সেই বারান্দাটা যেন মহাকাশযান হয়ে যেতো! বিপুল-বিশাল এক মহাকাশযান।
এক টুকরো সুখ
বারান্দা মানেই মনকে আন্দোলিত করার মতো কিছু স্মৃতি।আয়ারল্যান্ডের যে এলাকায় আমি প্রথম আসি, সে এলাকাসহ আশেপাশের এলাকার বাড়িগুলোর দিকে তাকালে দেখতে পেতাম কোনো বাড়িতেই বারান্দা নেই।খুবই বিমর্ষ হয়ে যেতাম।বিদেশের মাটিতে পা রেখে মা এবং দেশের খাবারের পর সবচেয়ে বেশী যা মিস করেছি তাহলো আমাদের ঢাকার বাসার বারান্দা।যেন নিঃশ্বাস নেয়ার একমাত্র জায়গা।তখন আমাদের বাসার বারান্দা থেকে সংসদ ভবন দেখা যেতো।বারান্দা খোলামেলা থাকবে বলে বাবা ওতে গ্রীল লাগাননি।এখনও স্পষ্ট মনে আছে স্কুল থেকে এসে খেয়ে-দেয়ে একটু বিশ্রাম নিয়েই সেজেগুজে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতাম।হাটাহাটি করতাম।ভাবীরাও দেখতাম সেজেগুজে বারান্দায় দাঁড়িয়ে ভাইদের জন্য অপেক্ষা করছে।আমার প্রথম প্রেমেরও শুরু ওই বারান্দা থেকেই।জানি আমার মতো অনেকেরই প্রথম প্রেম ওই বারান্দা থেকেই।বাবা যখন মারা যান তখন রাত তিনটা থেকে সকাল ১০টা অব্ধি বারান্দায় অপেক্ষা করেছিলাম বাবার মুখটা দেখার জন্য।
গ্রীল দেয়া বারান্দা আমার কাছে খাঁচার মতো।এখনও আয়ারল্যান্ডে বসে আমি সেই বিকেলগুলো সেই হারিয়ে যাওয়া মুহুর্তগুলো খুঁজে বেড়াই- যেন, সেই বিকেল । বারান্দায় হাঁটছি। নিচে বাচ্চাদের খেলাধুলার আনন্দধ্বনি শোনা যাচ্ছে।লেইসফিতা, ফেরিওয়ালা, কটকটিওয়ালা এসে জোড়ে জোড়ে ডাকছে বা রাস্তায় আসর জমিয়ে বসেছে।আমরা দৌড়ে নিচে চলে যাচ্ছি। লাল-নীল রঙ বেরংয়ের ফিতা-চুড়ি কেনার জন্য বায়না করছি।আর তাই মাঝে মাঝে বারান্দায় মন হারিয়ে যায়।
ছবিঃ তাহসিন সিদ্দিক (শমী)
ইঁদুর, ইঁদুর…
30 Jan 2025
5760 বার পড়া হয়েছে
হাঁটতে হাঁটতে…
23 Jan 2025
4740 বার পড়া হয়েছে
এই গিটারটা বন্দুক হয়ে যেতে পারে...
16 Jan 2025
5060 বার পড়া হয়েছে
পুরুষ নেই...
9 Jan 2025
3775 বার পড়া হয়েছে
শীতকাল ভালোবেসে…
2 Jan 2025
3825 বার পড়া হয়েছে
এত লোক জীবনের বলী…
19 Dec 2024
3455 বার পড়া হয়েছে
চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস…
12 Dec 2024
1885 বার পড়া হয়েছে
জয়া’র জয়
5 Dec 2024
2750 বার পড়া হয়েছে
দু‘শ সেকেন্ডের সেই টেলিফোন কল
28 Nov 2024
2705 বার পড়া হয়েছে
কাফকার আঁকাজোঁকা
21 Nov 2024
2250 বার পড়া হয়েছে
স্বৈরাচার স্বৈরাচার…
14 Nov 2024
6760 বার পড়া হয়েছে
ডার্ক ট্যুরিজম
7 Nov 2024
5270 বার পড়া হয়েছে
ফেরা…
31 Oct 2024
2290 বার পড়া হয়েছে
অনুজ্জ্বল বিষের পাত্র
24 Oct 2024
2110 বার পড়া হয়েছে
ঋত্বিকের সুচিত্রা সেন
17 Oct 2024
1480 বার পড়া হয়েছে
হেমন্তের অরণ্যে পোস্টম্যান
10 Oct 2024
2085 বার পড়া হয়েছে
গোয়েন্দা কাহিনি এখন…
1 Oct 2024
1735 বার পড়া হয়েছে
ঝড়ের কেন্দ্র
19 Sept 2024
1665 বার পড়া হয়েছে
তখন হাসপাতালে…
11 Jul 2024
3925 বার পড়া হয়েছে
ছাতার মাথা ...
4 Jul 2024
3095 বার পড়া হয়েছে
আমি, তুমি ও ম্যাকবেথ…
27 Jun 2024
3095 বার পড়া হয়েছে
কফির কাপে ঝড়…
13 Jun 2024
2240 বার পড়া হয়েছে
চশমার কাচে সমুদ্র
6 Jun 2024
2065 বার পড়া হয়েছে
মেরিলিন মনরো আর রুবি রায়
30 May 2024
2660 বার পড়া হয়েছে
খুন জখমের গল্পে নারীরা...
9 May 2024
2385 বার পড়া হয়েছে
পথের মানুষ…
3 May 2024
2150 বার পড়া হয়েছে
দহন
25 Apr 2024
3190 বার পড়া হয়েছে
আয়না অনেক গল্প জানে…
10 Apr 2024
4525 বার পড়া হয়েছে
গোলাপের নিচে...
28 Mar 2024
2670 বার পড়া হয়েছে
মুখে তার...
21 Mar 2024
1660 বার পড়া হয়েছে
লেনিনের যতো ভালোবাসার চিঠি…
14 Mar 2024
2375 বার পড়া হয়েছে
আমাদের ছুটি ছুটি ছুটি...
29 Feb 2024
4925 বার পড়া হয়েছে
যদি নির্বাসন দাও
22 Feb 2024
2550 বার পড়া হয়েছে
শীত চলে গেছে পরশু...
8 Feb 2024
2510 বার পড়া হয়েছে
মনে পড়লো তোমাকে বইমেলা...
1 Feb 2024
3140 বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব নির্জন বারান্দায়...
25 Jan 2024
2315 বার পড়া হয়েছে
ঋত্ত্বিক ঘটকের বউ…
11 Jan 2024
2785 বার পড়া হয়েছে
সুচিত্রা সেনের সানগ্লাস
4 Jan 2024
4945 বার পড়া হয়েছে
স্মৃতি পিপীলিকা…
28 Dec 2023
3940 বার পড়া হয়েছে
হাতে বোনা সোয়েটার আর…
21 Dec 2023
4400 বার পড়া হয়েছে
দেয়ালে উঠছে, দেয়াল ভাঙছে
13 Dec 2023
4240 বার পড়া হয়েছে
শীত এক মায়া
7 Dec 2023
4715 বার পড়া হয়েছে
উঁকি...
30 Nov 2023
3290 বার পড়া হয়েছে
দেশলাই জ্বালতেই…
23 Nov 2023
7245 বার পড়া হয়েছে
তোমার ও আঁখির তারায়...
9 Nov 2023
4585 বার পড়া হয়েছে
পাগল ...
26 Oct 2023
4355 বার পড়া হয়েছে
শীতের খোঁজে...
19 Oct 2023
4580 বার পড়া হয়েছে
বৃষ্টিতে থাকলো নির্জন সাইকেল...
5 Oct 2023
5945 বার পড়া হয়েছে
নারী ভয়ংকর
28 Sept 2023
9415 বার পড়া হয়েছে
তবুও সন্ধ্যা আসে…
14 Sept 2023
6170 বার পড়া হয়েছে
হিটলারের নেশা
7 Sept 2023
8565 বার পড়া হয়েছে
ক্লাপারবোর্ড
31 Aug 2023
12290 বার পড়া হয়েছে
মোনালিসার গোয়েন্দারা
23 Aug 2023
2575 বার পড়া হয়েছে
খেলা যখন…
15 Jun 2023
2455 বার পড়া হয়েছে
ইতি, চায়ের দোকান...
1 Jun 2023
5355 বার পড়া হয়েছে
লেখকদের ঘরবাড়ি
10 May 2023
2075 বার পড়া হয়েছে
মেয়েরা প্রেমের চিঠি লেখে না
20 Apr 2023
5500 বার পড়া হয়েছে
বৈশাখে আঞ্চলিক খাবার..
13 Apr 2023
1860 বার পড়া হয়েছে
স্ট্রিট ফাইটিং ইয়ার্স...
6 Mar 2023
1955 বার পড়া হয়েছে
হাওয়ায় লেগেছে শরতের গন্ধ।
4 Jan 2023
2515 বার পড়া হয়েছে
রাজনৈতিক ফুটবল
4 Jan 2023
2600 বার পড়া হয়েছে
হাসপাতাল থেকে…
23 Jun 2022
1705 বার পড়া হয়েছে
একলা মাদুর…
16 Jun 2022
1330 বার পড়া হয়েছে
পালাতে হয়েছিলো মোনালিসাকে
7 Jan 2021
2435 বার পড়া হয়েছে
হেমন্তের অরণ্যে পোস্টম্যান
29 Oct 2020
1965 বার পড়া হয়েছে
গডফাদার ৫২ বছরে
22 Oct 2020
1845 বার পড়া হয়েছে
দানব অথবা দানবীয়...
8 Oct 2020
1560 বার পড়া হয়েছে
দুই শীতের মাঝখানে
1 Oct 2020
1710 বার পড়া হয়েছে
আরেক বিভূতিভূষণ...
17 Sept 2020
1310 বার পড়া হয়েছে
আয়নায় একা উত্তম...
3 Sept 2020
1415 বার পড়া হয়েছে
দ্বিতীয় পথের পাঁচালী
27 Aug 2020
1855 বার পড়া হয়েছে
ভালো না-বাসার কাল
13 Aug 2020
1350 বার পড়া হয়েছে
যতদূর থাকো ফের দেখা হবে
5 Aug 2020
1560 বার পড়া হয়েছে
বিপজ্জনক মানিক
2 Jul 2020
1310 বার পড়া হয়েছে
নিখোঁজ হয়েছিলেন আগাথা ক্রিস্টিও
23 May 2020
1225 বার পড়া হয়েছে
আমাকে মনে পড়ে?
14 Apr 2020
1190 বার পড়া হয়েছে
আমি ইতালী থেকে লিখছি...
29 Mar 2020
1315 বার পড়া হয়েছে
পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন...
12 Mar 2020
1785 বার পড়া হয়েছে
মুখোমুখি বসিবার...
27 Feb 2020
1270 বার পড়া হয়েছে
শীতে ভালোবাসার পদ্ধতি
6 Feb 2020
2765 বার পড়া হয়েছে
হিব্রু ভাষায় কাফকার চিঠি
30 Jan 2020
1345 বার পড়া হয়েছে
ইভা ব্রাউনের অন্তরাল
23 Jan 2020
1455 বার পড়া হয়েছে
শীতের স্মৃতি
9 Jan 2020
1550 বার পড়া হয়েছে
কেক কুকিজের গন্ধে ...
24 Dec 2019
1145 বার পড়া হয়েছে
জুতার ভেতরে...
19 Dec 2019
1105 বার পড়া হয়েছে
খুন হয়েছিলেন আলবেয়ার কামু
12 Dec 2019
1885 বার পড়া হয়েছে
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকরিবাকরি
5 Dec 2019
1190 বার পড়া হয়েছে
পৃথিবী বিখ্যাত পোস্টার যত
28 Nov 2019
1835 বার পড়া হয়েছে
পেঁয়াজের পিঁয়াজী
21 Nov 2019
1445 বার পড়া হয়েছে
সিনেমায় দু’চাকার ঝড়
14 Nov 2019
1105 বার পড়া হয়েছে
শেষদৃশ্যে জুলিয়াস ফুচিক
7 Nov 2019
1635 বার পড়া হয়েছে
অভিমানে কি দেশ ছাড়বেন সাকিব
31 Oct 2019
1135 বার পড়া হয়েছে
ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দানবেরা
17 Oct 2019
2065 বার পড়া হয়েছে
স্বপ্ন, দু:স্বপ্নের পুরুষ
10 Oct 2019
1350 বার পড়া হয়েছে
স্মৃতির রুমালে শিউলি...
3 Oct 2019
3405 বার পড়া হয়েছে
নির্ঘুম শহরে...
26 Sept 2019
1490 বার পড়া হয়েছে
ধূসর পাণ্ডলিপি
19 Sept 2019
1535 বার পড়া হয়েছে
এক্সপোজড...
12 Sept 2019
1230 বার পড়া হয়েছে
নারী ও শাড়ি ...
5 Sept 2019
1465 বার পড়া হয়েছে
পথের পাঁচালী’র ৬৪
29 Aug 2019
1435 বার পড়া হয়েছে
প্রেম আর যৌনতায় তারা
22 Aug 2019
1200 বার পড়া হয়েছে
যৌনতায়, বিদ্রোহে তাঁরা...
1 Aug 2019
1225 বার পড়া হয়েছে
খুনের সময়ে...
25 Jul 2019
1325 বার পড়া হয়েছে
পথ...
11 Jul 2019
1330 বার পড়া হয়েছে
যে কোন দলই ছিটকে পড়তে পারে
27 Jun 2019
1415 বার পড়া হয়েছে
বৃষ্টিকাল কবে আসবে নন্দিনী
20 Jun 2019
1825 বার পড়া হয়েছে
স্নানঘরের গান...
2 Jun 2019
1420 বার পড়া হয়েছে
আমার কোনো ভয় নেই তো...
23 May 2019
1265 বার পড়া হয়েছে
রেখার ফারজানা...
2 May 2019
1220 বার পড়া হয়েছে
হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবী
25 Apr 2019
2750 বার পড়া হয়েছে
নীলকন্ঠ পাখির খোঁজে...
18 Apr 2019
1400 বার পড়া হয়েছে
আপুদের পথের ভাই ...
4 Apr 2019
1515 বার পড়া হয়েছে
আমাদের প্রাণের বাংলা
28 Mar 2019
1595 বার পড়া হয়েছে
ক্যানভাসে ঝরে পড়া অসুখ
21 Mar 2019
1195 বার পড়া হয়েছে
শেষদৃশ্যে লোরকা
14 Mar 2019
1515 বার পড়া হয়েছে
নেশার ঘোরে লেখক
7 Mar 2019
1930 বার পড়া হয়েছে
একটি বইয়ের গল্পের সঙ্গে...
1 Mar 2019
1580 বার পড়া হয়েছে
বই করেছি চুরি...
21 Feb 2019
2990 বার পড়া হয়েছে
সকালবেলার গুলজার
7 Feb 2019
1320 বার পড়া হয়েছে
বইমেলায় প্রেম...
31 Jan 2019
1145 বার পড়া হয়েছে
অ্যান্ড এ স্পাই...
24 Jan 2019
1955 বার পড়া হয়েছে
আপনার সন্তান কি নিরাপদ
10 Jan 2019
1210 বার পড়া হয়েছে
পুষ্পহীন যাত্রাশেষে মৃণাল সেন
3 Jan 2019
1125 বার পড়া হয়েছে
নিষিদ্ধ যতো বই আর সিনেমা
13 Dec 2018
2195 বার পড়া হয়েছে
অসুখী মানুষ
6 Dec 2018
1400 বার পড়া হয়েছে
দাম্পত্য সম্পর্কে #MeToo
29 Nov 2018
1490 বার পড়া হয়েছে
দুই নম্বরি...
22 Nov 2018
1375 বার পড়া হয়েছে
অশ্লীল গল্প
8 Nov 2018
3345 বার পড়া হয়েছে
ফুলগুলো সরিয়ে নাও, আমার লাগছে
1 Nov 2018
2370 বার পড়া হয়েছে
লাভ রানস ব্লাইন্ড
25 Oct 2018
1300 বার পড়া হয়েছে
শেষ দৃশ্যে মান্টো
18 Oct 2018
1495 বার পড়া হয়েছে
আমাদের সেই বারান্দায়...
11 Oct 2018
1210 বার পড়া হয়েছে
শীতকাল কবে আসবে সুপর্না?
4 Oct 2018
1545 বার পড়া হয়েছে
কোমায় আমাদের সিনেমা
20 Sept 2018
1315 বার পড়া হয়েছে
আজো বিভূতিভূষণ...
13 Sept 2018
1320 বার পড়া হয়েছে
ভীষণ অচেনা ও একা...
6 Sept 2018
1070 বার পড়া হয়েছে
গোপন কথা...
9 Aug 2018
1340 বার পড়া হয়েছে
খোলা চিঠি ও চুমু
26 Jul 2018
1705 বার পড়া হয়েছে
ফ্রিডা কাহলো এক সূর্যমুখী ফুল
19 Jul 2018
1020 বার পড়া হয়েছে
ঝিনুক নীরবে সহো...
5 Jul 2018
1375 বার পড়া হয়েছে
ফুটবল- রঙ্গ ভরা বঙ্গে
28 Jun 2018
1225 বার পড়া হয়েছে
জানালা কী জানালো...
11 Jun 2018
2230 বার পড়া হয়েছে
বিষয় বাসনা
19 Apr 2018
1710 বার পড়া হয়েছে
মনের রঙ...
15 Feb 2018
1385 বার পড়া হয়েছে
দাড়ি কান্ড...
18 Jan 2018
2220 বার পড়া হয়েছে
চোর, চোর...
28 Dec 2017
3560 বার পড়া হয়েছে
বাঙালির আহার...আহা রে...
21 Dec 2017
2220 বার পড়া হয়েছে
চরণ ধরিতে দিয়ো গো আমারে...
7 Dec 2017
2665 বার পড়া হয়েছে
ব্রুটাস তুমিও!
23 Nov 2017
1565 বার পড়া হয়েছে
কি বললেন সরয়ার ফারুকী...
2 Nov 2017
1485 বার পড়া হয়েছে
স্বত্ব © ২০১৬ - ২০২৩ প্রাণের বাংলা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আবিদা নাসরীন কলি।
Email: Article: amar@pranerbangla.com, Avertising: ad@pranerbangla.com
Phone: +8801818189677, +8801717256199