ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৮

সাগর চৌধুরী

লেখক, কলকাতা থেকে

প্রকাশ: 23 Dec 2021

1965 বার পড়া হয়েছে

Shoes

বিশিষ্ট সাংবাদিক সাগর চৌধুরী। একদা কর্মরত ছিলেন বিবিসি’র বাংলা বিভাগে। তারও আগে কলকাতার বিভিন্ন পত্রিকা এবং বার্তা সংস্থায়। একদা নানান কাজের ভিড়ে বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য ইংরেজি সাবটাইটেল রচনার কাজও করেছেন। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, তরুণ মজুমদার, নব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালকদের সিনেমায় তিনি ছিলেন সাবটাইটেল লেখক। এখন এক ধরণের অবসর জীবন যাপন করছেন। বসবাস করেন কলকাতা শহরে। সাংবাদিকতার সঙ্গে সম্পর্ক বেশ কিছুটা মেরুদূর হলেও কলম থেমে যায়নি। বই লিখছেন, অনুবাদ করছেন। সাগর চৌধুরী জীবনকে দেখেছেন নানান কৌণিকে আলো ফেলে। দীর্ঘদিন বিলেতে ছিলেন। ঘুরেওবেড়িয়েছেন নানান দেশে। জীবনও তাকে দেখেছে খুব কাছে থেকে। সেই জীবনপ্রবাহের গল্প শোনাতেই প্রাণের বাংলার জন্য কলম ধরলেন সাগর চৌধুরী। প্রাণের বাংলার পাতায় এখন থেকে জীবনের গল্প বলবেন তিনি।

আট.

বিলেতে দীর্ঘ তিন দশকের প্রবাসজীবন কাটানোর সময়কার কিছু স্মরণীয় ঘটনার কথা বলছিলাম। সেই প্রসঙ্গে আমার লন্ডনে পদার্পণের প্রথম দিনের ও সন্ধ্যার অভিজ্ঞতার কথা বলি।

বুশ হাউজ - আমাদের সময়ে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের সদর দফ্তর

‘বিবিসি’, অর্থাৎ ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন-এর সঙ্গে অল্পবিস্তর পরিচয় ছিলো দেশে থাকতেই, রেডিওতে খবর শোনার পুরনো অভ্যাসের সুবাদে। আর আমার বিলেত প্রবাসের সূচনা বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস্-এর হাত ধরেই। এই বিখ্যাত আন্তর্জাতিক বেতার সম্প্রচারক প্রতিষ্ঠানটির বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠানমালার একজন প্রযোজক-উপস্থাপক মনোনীত হওয়ার পর আমি লন্ডনে প্রথম পা রেখেছিলাম নভেম্বার মাসের শেষ সপ্তাহের এক অতি শীতল (সদ্য ছেড়ে আসা কলকাতার তুলনায়) সকালে। হীথরো বিমানবন্দরের শুল্ক ও অভিবাসন দফ্তরের বেড়া পেরিয়ে জিনিষপত্র নিয়ে বাইরে আসতে আসতে পাবলিক অ্যাড্রেস্ সিস্টেমের ঘোষণায় শুনতে পেলাম সেই সাতসকালেই। আমার জন্য অপেক্ষা করছেন দীপংকর ঘোষ নামে কেউ একজন। দেখা ও আলাপ হওয়ার পর জানলাম তিনি বাংলা বিভাগেরপুরনো সদস্য এবং কলকাতারই লোক, স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়েই আমাকে স্বাগত জানানোর দায়িত্ব নিয়েছেন। দীপংকরদা আমাকে তাঁর গাড়িতে তুলে নিয়ে গেলেন মধ্য লন্ডনের বেইজওয়াটার এলাকায় অবস্থিত বিবিসি’র হোস্টেলে, যেটা তখন ছিলো এই প্রতিষ্ঠানের নতুন কর্মীদের এবং দুনিয়ার নানা জায়গা থেকে আসা অতিথিদের অস্থায়ী আস্তানা।

হোস্টেলে পৌঁছানোর পর আমার নামধাম লেখানোর পালা সাঙ্গ হলে দীপংকরদা বিদায় নিলেন, বলে গেলেন বেলার দিকে যদি আমি খুব বেশী ক্লান্ত বোধ না করি তাহলে যেন বুশ হাউজ-এ চলে যাই। সেই সময়ে মধ্য লন্ডনের কিংস্ওয়ে নামক রাজপথটির এক প্রান্তে অবস্থিত বুশ হাউজই ছিলো বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস্-এর সদর দফ্তর, যার এক পাশে অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশন বা ঐ দেশটির দূতাবাস, অন্য পাশে ইন্ডিয়ান হাই কমিশন বা ভারতীয় দূতাবাস। ইংরেজী ছাড়াও বাংলাসহ আরো তিরিশটির বেশী ভাষায় বেতারানুষ্ঠান সম্প্রচারিত হতো এই ভবনটি থেকেই। কয়েক বছর আগে, বোধ হয় ২০১২ সালে, ওয়ার্ল্ড সার্ভিস্ বুশ হাউজ ছেড়ে গেছে, তার বর্তমান ঠিকানা অক্সফোর্ড স্ট্রীটের পাশে নির্মিত নিজস্ব ভবনে। বিবিসি’র সঙ্গে যুক্ত থাকাকালীন আমার নিজের কর্মস্থলও ছিল বুশ হাউজ। হোস্টেলের দোতলায় আমার জন্য নির্দিষ্ট ঘরে ঢুকে কিছুটা গোছগাছ করার পর মনে হলো আমি মোটেই ক্লান্ত বোধ করছি না, সুতরাং বুশ হাউজ-এ যাওয়া যেতেই পারে। তখন সকাল সাড়ে-ন’টা, একতলায় রিসেপ্শন ডেস্ক থেকে পথনির্দেশ জেনে নিয়ে বেলা এগারোটা নাগাদ ক্যুইনস্ওয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন থেকে সেন্ট্রাল লাইনের ট্রেন ধরে হোবর্ন স্টেশনে গিয়ে নামলাম, যেখান থেকে বুশ হাউজ মিনিট দশেকের হাঁটাপথ, স্টেশন থেকে বেরোলেই দেখা যায়। বুশ হাউজের রিসেপ্শন ডেস্কে নিজের নাম এবং ‘বেঙ্গলি সেক্শন’ বলতেই একজন কর্মী টেলিফোনে খবর দিলেন। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই একটি গোলগাল হাসিখুসী কৃষ্ণাঙ্গী তরুণী, বাংলা বিভাগের তৎকালীন সেক্রেটারী, এসে আমাকে পাঁচতলায় নিয়ে গেলো। বাংলা ছাড়াও হিন্দি ও উর্দু বিভাগও দেখলাম ঐ তলাতেই, পাশাপাশি। তাদের বিপরীতে, যতদূর এখন মনে পড়ছে, নেপালী ও পশ্তু বিভাগও। বাংলা বিভাগে তখন উপস্থিত আট-দশজন কর্মী, তাঁদের মধ্যে দীপংকর ঘোষ তো ছিলেনই, আরো ছিলেন বিভাগীয় প্রধান পিটার ম্যানগোল্ড, উপ-বিভাগীয় প্রধান সিরাজুর রহ্মান এবং অন্যান্যরা। দীপংকরদাই সকলের সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দিলেন। তবে ঐ সময়ে প্রত্যেকেই দ্বিপ্রাহরিক অনুষ্ঠান সম্প্রচারের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত, তাই বিস্তারিত আলাপচারিতা তখনকার মতো মুলতুবি রাখতেই হলো। একমাত্র আমারই কোন কাজ ছিলো না চুপচাপ বসে অন্যদের কাজ লক্ষ্য করা ছাড়া। সেটাই করলাম ঘন্টা দুয়েক ধরে। সম্প্রচারের সময় হলে কীভাবে সেটা করা হয় তাও দেখলাম স্টুডিও-সংলগ্ন কুঠুরিতে বসে। সদ্যলব্ধ সহকর্মীদের দু-তিনজনের সঙ্গে ভালো করে আলাপ হলো সম্প্রচার শেষ হওয়ার পর ক্যান্টিনে বসে লাঞ্চ খাওয়ার সময়।

এর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয়ে গেলো সেদিনের শেষ সম্প্রচারের প্রস্তুতিপর্ব। সকলেই আবার ব্যস্ত হয়ে পড়লেন নিজের নিজের কাজে, আমিও আগের মতোই দর্শকের ভূমিকা পালন করে চললাম সম্প্রচার শেষ হওয়া পর্যন্ত। ততক্ষণে আমি অবশ্য খানিকটা ক্লান্ত বোধ করতে শুরু করেছি, সম্ভবত দীর্ঘ বিমানযাত্রার প্রতিক্রিয়ায় জেট্ল্যাগ-এর কারণে, তাই ঠিক করলাম যে হস্টেলেই ফিরে গিয়ে একটু বিশ্রাম করি। বুশ হাউজ থেকে বেরিয়ে রাস্তায় নেমে দেখি দিনের আলো কখন যেন মুছে গেছে, যেটা চারদিক বন্ধ পাঁচতলার ঘর থেকে মোটেই টের পাওয়া যায়নি। যথেষ্ট ঠান্ডা, তার ওপর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও পড়ছে আর আমার গায়ে তেমন ভারী কিছু শীতবস্ত্র নেই। যাই হোক, কোনমতে কাঁপতে কাঁপতে হোবর্ন স্টেশনে যাওয়ার জন্য ফুটপাথ ধরে হাঁটা শুরু করলাম। দশ মিনিটের তো পথ, একটু পরেই পৌঁছে যাবো আর স্টেশনের উষ্ণ পরিবেশে আশ্রয় পেয়ে যাব।

যাই হোক, হাঁটছি, আমার ধারণা বেলা এগারোটায় যে পথ দিয়ে বুশ হাউজ-এ এসেছিলাম সেই পথ দিয়েই। তখন অবশ্য দিনের আলো ছিলো, কিন্তু এখন যেন সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার দরুণ পথটা সামান্য অচেনা ঠেকছে, বিজলিবাতির আলোয় উদ্ভাসিত হওয়া সত্ত্বেও। হঠাৎ মনে হলো, হাঁটছি তো বেশ কিছুক্ষণ, দশ মিনিট কি হয়নি এখনো? তাড়াতাড়ি হাতঘড়ির দিকে চোখ ফেলে দেখি, দশ কোথায়? এ যে বিশ মিনিটের বেশি হয়ে গেছে! কী কা-! তটস্থ হয়ে এদিক-ওদিক তাকিয়ে দেখলাম পথ যেন আরো অচেনা মনে হচ্ছে। হোবর্ন স্টেশন তো অদূরেই হওয়ার কথা, সেটাও তো চোখে পড়ছে না! রাস্তার সামনের দিকটাও যেন একটু বেশি অন্ধকার, স্টেশনের আলো-টালোও দেখা যাচ্ছে না। দ্রুত পা চালিয়ে আরো কয়েক পা এগিয়ে গিয়েই অবিশ্বাস্য একটা দৃশ্য চোখে পড়ায় স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম , রাস্তার ওপারেই কয়েক গজ দূরে বয়ে যাচ্ছে একটা নদী, এক নজরে বেশ চওড়াই দেখাচ্ছে, ফুটপাথের ধার ঘেঁষে বসানো কয়েকটা ল্যাম্পপোস্টের আলো জলে প্রতিফলিত হয়ে ঝিলমিল করছে। নদীটা এলো কোথা থেকে? ওবেলা আসার সময় তো নদী-টদী কিছু চোখে পড়েনি! আর যেখানে আমি এসে দাঁড়িয়েছি সেখানে দ্বিতীয় কোন জনপ্রাণীরই অস্তিত্ব নেই। চারদিক শুনশান, কেবল একা আমি আর আমার সামনে নিঃশব্দে প্রবহমান নদী। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি তখনও ঝরে চলেছে, ঠান্ডা বাতাসটাও যেন বেড়ে গেছে, হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। কী করি এখন? কোথায় যাই?

যারপরনাই ঘাবড়ে গিয়ে অসহায়ের মতো এদিক-ওদিক তাকাচ্ছি, হঠাৎ চোখে পড়লো কয়েক গজ দূরে রাস্তার কোনার দিকে একটা দোকানের মতো কিছু। ভেতরে আলোও জ্বলছে মনে হলো। প্রায় ছুটেই তার সামনে পৌঁছে দেখলাম, হ্যাঁ, দোকানই বটে একটা, সামনের দরজা বন্ধ কিন্তু ভেতরে কেউ রয়েছে। জোরে জোরে দরজার গায়ে চাপড় মারলাম কয়েকবার। দু-চার সেকেন্ড বাদে ভেতর থেকে একটি বিরক্ত কণ্ঠস্বর ভেসে এলো: ‘ক্যা’ন্ট ইউ সী আই অ্যাম ক্লোজড্ ,দেখতে পাচ্ছো না আমার দোকান বন্ধ?’ আমি অত্যন্ত ব্যাকুল গলায় বললাম: ‘প্লীজ্ হেল্প মি, আই অ্যাম লস্ট , দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন, আমি পথ হারিয়েছি। ’ এবার কয়েক সেকেন্ড দরজার গায়ে খুট্খাট্ আওয়াজের পর সেটা খুলে গেলো , সামনেই দাঁড়িয়ে একজন প্রৌঢ় ইংরেজ পুরুষ, লাল চুল, লাল গোঁফ, চোখেমুখে বিরক্তি। অসহিষ্ণু গলায় তিনি বললেন: ‘হোয়াট’স্ ইয়োর প্রবলেম , সমস্যা কী আপনার?’ আমি যতটা সম্ভব আকুতি ভরা গলায় আমার সমস্যা নিবেদন করলাম। সব শুনে তিনি হাতের ইশারায় আমাকে ভেতরে ঢুকতে ইঙ্গিত করলেন, তারপর একটা টুলের দিকে দেখিয়ে বললেন: ‘বসুন ওখানে। রাতের মতো সব গোছগাছ করা সেরে নিতে দিন আমাকে।’ টুলের ওপর বসে এদিকে-ওদিকে তাকালাম, নানারকম স্টেশনারী আর কন্ফেক্শনারী সামগ্রী দিয়ে সাজানো ছোটখাটো দোকান, বিলেতে যাদের নাম ‘কর্নার শপ্’। হাতের কাজ শেষ করতে করতে দোকানের মালিক আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন: ‘ব্যাপারটা বুঝেছি আমি। ওবেলা আপনি কিংসওয়ে নামে রাস্তাটার শেষ প্রান্তে এসে বুশ হাউজের প্রধান দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকেছিলেন, আর সন্ধ্যায় খেয়াল না করে বেরিয়েছেন ঐ দরজার বিপরীতে পেছনের দরজা দিয়ে এবং এসে পড়েছেন অল্ডউইচ এলাকায়,স্ট্র্যান্ড-এ পৌঁছানোর পথের ওপর। (লন্ডনের টেমস্ নদীর তীর বরাবর টানা পথটির নাম ‘স্ট্র্যান্ড’, যার অনুকরণে কলকাতার গঙ্গার তীর বরাবর পথটিরও নাম ‘স্ট্র্যান্ড রোড’)। এটা আদতে অফিস পাড়া, সন্ধ্যার পর প্রায় কেউই থাকে না এই এলাকায়। আমার দোকানও তো আর কয়েক মিনিটেই রাতের মতো বন্ধ হয়ে যাবে। আপনার হোবর্ন স্টেশন এখন থেকে মিনিট পঁচিশের হাঁটাপথ। আমি দেখিয়ে দেবো।’ উচ্ছসিত গলায় তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললাম: ‘আপনি সত্যিই আমার ঈশ্বর-প্রেরিত রক্ষাকর্তা!’ ভদ্রলোক অবহেলাভরে একটা হাত নেড়ে বললেন: ‘ নেভার মাইন্ড ,এমনটা ঘটতেই পারে, নতুন কোন লোকের ক্ষেত্রে।’

কয়েক মিনিটে গোছগাছ সেরে ভদ্রলোক দোকানের এক কোনা থেকে একটা লাল-সাদা ডোরা কাটা মস্ত ছাতা (পরে জেনেছি সেটাকে বলে ‘গলফ্ আমব্রেলা’) তুলে নিয়ে বললেন: ‘চলুন ’
বাইরে বেরিয়ে দরজায় তালা লাগানোর পর আমাকেও ছাতার তলায় জায়গা দিয়ে ভদ্রলোক দ্রুত পায়ে হাঁটতে শুরু করলেন, পাশে পাশে আমিও। কোন কথা না বলে চুপচাপ মিনিট পনেরো হাঁটার পর আমরা একটা উজ্জ্বল আলোকিত বড় রাস্তার ধারে এসে পড়লাম যেটা দেখে কেমন চেনা চেনা ঠেকলো। পাশে তাকিয়ে দেখি , আরে! ঐ তো বুশ হাউজ। তার মানে সামনের চওড়া রাজপথটাই কিংস্ওয়ে, যার অন্য প্রান্তে হোবর্ন স্টেশন। হাঁটা থামিয়ে আমার সঙ্গী একটা হাত তুলে সামনের দিকে দেখিয়ে বললেন: ‘ঐ যে, আপনার হোবর্ন স্টেশন দেখা যাচ্ছে। এটুকু পথ নিজেই যেতে পারবেন তো?’ আমি সদ্যলব্ধ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বললাম: ‘অবশ্যই। কী বলে যে কৃতজ্ঞতা জানাবো আপনাকে!’ ভদ্রলোক আগের মতোই অবহেলাভরে হাত নেড়ে বললেন: ‘তার কোন দরকার নেই। শুভরাত্রি।’ আমিও তাঁকে ‘শুভরাত্রি’ জানিয়ে রাস্তা পেরিয়ে ওপাশের ফুটপাথে চলে গেলাম। স্টেশনের দিকে পা বাড়ানোর আগে একবার পেছন ফিরে হাত নেড়ে বিদায় জানাতে গিয়ে দেখি এই কয়েক মূহুর্তের মধ্যেই আমার রক্ষাকর্তা অন্তর্হিত হয়ে গেছেন। (চলবে)

মন্তব্য করুন

Share Article

আরো পড়ুন

আরো পড়ুন

স্বত্ব © ২০১৬ - ২০২৩ প্রাণের বাংলা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: আবিদা নাসরীন কলি।

Email: Article: [email protected], Avertising: [email protected]

Phone: +8801818189677, +8801717256199