বিশিষ্ট সাংবাদিক সাগর চৌধুরী। একদা কর্মরত ছিলেন বিবিসি’র বাংলা বিভাগে। তারও আগে কলকাতার বিভিন্ন পত্রিকা এবং বার্তা সংস্থায়। একদা নানান কাজের ভিড়ে বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য ইংরেজি সাবটাইটেল রচনার কাজও করেছেন। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, তরুণ মজুমদার, নব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালকদের সিনেমায় তিনি ছিলেন সাবটাইটেল লেখক। এখন এক ধরণের অবসর জীবন যাপন করছেন। বসবাস করেন কলকাতা শহরে। সাংবাদিকতার সঙ্গে সম্পর্ক বেশ কিছুটা মেরুদূর হলেও কলম থেমে যায়নি। বই লিখছেন, অনুবাদ করছেন। সাগর চৌধুরী জীবনকে দেখেছেন নানান কৌণিকে আলো ফেলে। দীর্ঘদিন বিলেতে ছিলেন। ঘুরেওবেড়িয়েছেন নানান দেশে। জীবনও তাকে দেখেছে খুব কাছে থেকে। সেই জীবনপ্রবাহের গল্প শোনাতেই প্রাণের বাংলার জন্য কলম ধরলেন সাগর চৌধুরী। প্রাণের বাংলার পাতায় এখন থেকে জীবনের গল্প বলবেন তিনি।
পনেরো.
সত্তরের দশকের গোড়ার দিকে বন্ধু সুব্রত লাহিড়ীর মাধ্যমে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ও পরিচয়ের কথা আগে লিখেছি। ঐ সময়েই এক দিন, যতদূর মনে পড়ে সত্যজিতের বাড়িতেই, সুভাষ সিংহরায় নামে একজনের সঙ্গে পরিচয় হলো। ভদ্রলোক একজন শিল্পী, অর্থাৎ চিত্রকর, শুনলাম ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ ছবিটির শিল্পনির্দেশনায় তিনি পরিচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। প্রথম দর্শনেই তাঁর চেহারা আমাকে রীতিমতো চমকে দিয়েছিলো। কারণটা খুলে বলছি। ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ ছবিতে ‘হুন্ডি’ আর ‘শুন্ডি’ এই দুই রাজ্যের রাজার দ্বৈত ভূমিকায় ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা সন্তোষ দত্ত সে’কথা পাঠকদের তো মনে আছে নিশ্চয়ই। তাঁর চেহারার সঙ্গে সুভাষ সিংহরায়ের চেহারার প্রায় হুবহু সাদৃশ্য, কেবল বয়স একটু কম। কিন্তু এক নজরে দেখলে দুজনকে যমজ ভাই-ই মনে হবে। শুনলাম ঐ ছবিটিতে তাঁকে ক্যামেরার সামনে ব্যবহার করাও হয়েছে সন্তোষ দত্তের ‘ডাবল্’ হিসেবে।
যাই হোক, সুভাষ সিংহরায়ের সঙ্গে আমার দারুণ জমে গেলো প্রথম আলাপ থেকেই, কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি হয়ে দাঁড়ালেন ‘সুভাষ-দা’ এবং আমাদের বেশ নিয়মিত দেখাসাক্ষাৎ হতে লাগলো। কলকাতায় সেই সময়কার উদীয়মান শিল্পীদের মধ্যে দু-চারজন ছিলো আমার বন্ধুস্থানীয়, তারাও স্বাভাবিকভাবেই সুভাষ-দাকে চিনতো, সুতরাং তাঁর সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা বেড়ে উঠলো অচিরেই। এইভাবে দু-তিন মাস চলার পর একদিন সুভাষ-দা আমাকে টেলিফোন করে সন্ধ্যায় কলেজ স্ট্রীট কফি হাউজে আসতে বললেন, আমার সঙ্গে নাকি তাঁর কী সব জরুরী আলোচনা আছে। গেলাম কফি হাউজে, দো’তলায় কোনার দিকে একটা টেবিলে কফির কাপ সামনে নিয়ে গুছিয়ে বসলাম দু’জনে। জিজ্ঞেস করলাম, ‘বলুন সুভাষ-দা, কী জন্য এই জরুরী তলব?’
সুভাষ-দা বললেন, ‘তোমার সাহায্য চাই একটা বিশেষ কাজের ব্যাপারে। আশা করছি তুমি একটু সময় দিতে পারবে।’
‘বলুন না, কী কাজ। সম্ভব হলে নিশ্চয়ই সাহায্য করবো।’
‘সেটা বলার জন্যই ডেকেছি তোমাকে। আমি একটা ছোটখাটো প্রদর্শশালা, ঐ আর্ট গ্যালারী বলে যাকে, খোলার পরিকল্পনা করছি। জায়গাও ঠিক করে ফেলেছি, ভেতরটা সাজানোর কাজও শুরু হয়ে গেছে, সব রেডী হয়ে যাবে সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে। সেই ব্যাপারেই , ‘আর্ট গ্যালারী?’ আমি খুশিদ হয়েই বললাম। ‘বাহ্, এ তো আনন্দের কথা! একাই করছেন সবটা?’
‘প্রজেক্টটা আমারই ব্রেইনচাইল্ড। আর্ট কলেজের দু’টি মেয়ে, আমার ছাত্রীই বলতে পারো, থাকছে আমার সঙ্গে সাহায্যকারী হিসেবে। আর একটি অল্প বয়সী ছেলেও রয়েছে যেমন দরকার ফাইফরমাস খাটার জন্য।’
‘তা এই প্রজেক্টের জন্য আমার কথা ভাবছেন কেন? আমি তো আর্টের লাইনে নেই।’
‘আর্ট কলেজে যাতায়াত করেছিলে না কয়েক দিন?’
‘হ্যাঁ, করেছিলাম বটে।’ সুভাষ-দা ঠিকই বলেছেন, গ্র্যাফিক আর্টস্-এর একটা দশ-বারো সপ্তাহের কর্মশালায় যোগ দিয়েছিলাম একদা। তবে আমার শিল্পচর্চার মেয়াদ মোটামুটি ঐ পর্যন্তই, এর বেশি আর এগোয়নি বিশেষ। তাই জানতে চাইলাম, ‘আমার জন্য কী ভূমিকা ভেবেছেন?’
‘তেমন পরিশ্রমসাধ্য বা ঝামেলার কিছু নয়। যখন কোন শিল্পীর কাজের প্রদর্শনী হবে, আমি নিজে আর ঐ মেয়েরা সে’সব যেমন দরকার তেমনভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে নেবো। তোমাকে যে দায়িত্বটা নিতে হবে তা হলো গ্যালারীতে আসা দর্শকদের অভ্যর্থনা করা, এক্সিবিট্গুলোর দিকে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা, কেউ কোন ছবিটবি যদি কিনতে চায় সেই ব্যাপারে কথা বলা, দামটামের বিষয়ে আমি জানিয়ে দেবো তোমাকে আগেই, শিল্পীর সঙ্গে কথা বলে নিয়ে। এক কথায় তুমি হবে গ্যালারী আর দর্শকদের মধ্যে কনট্যাক্ট। ঝামেলা মনে হচ্ছে?’
‘না, তা হচ্ছে না বটে। গ্যালারী খোলা থাকার সময় কী রকম হবে?’
‘ভেবেছি বেলা তিনটে থেকে রাত আটটা। গোড়াতে পাঁচ ঘন্টাই যথেষ্ট।’
‘সেটাতে একটু মুস্কিল হতে পারে। কলেজে আমাকে ক্লাস নিতে হয় সপ্তাহে চার দিন। বিকেল চারটের আগে তো ফ্রী হবো না। এক-আধ দিন পাঁচটাও হয়ে যেতে পারে। অন্য দু-তিন দিন সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।’
‘ঠিক আছে, তিনটে থেকে চারটে বা পাঁচটা মেয়েদের নিয়ে আমি সামলে নেবো। বেশিরভাগ দর্শক সন্ধ্যের দিকেই আসে, তাদেরও তো কাজকর্ম আছে। যেদিন পারবে সেদিন তাড়াতাড়ি চলে এসো। তবে একটা কথা , কোন প্রদর্শনী শুরু হওয়ার প্রথম দিনটা তোমাকে ম্যানেজ করতেই হবে যেভাবেই হোক। পারবে কি?’
‘চেষ্টা করবো। দিন বুঝে আর আগে থেকে জানতে পারলে।’
সুভাষ-দার সঙ্গে কথাবার্তা তো হলো। ওঁর প্রস্তাবে মোটামুটি রাজিও হলাম, যদিও কলেজের ক্লাসের দিনগুলোতে সময় কীভাবে ম্যানেজ করবো জানি না। তবে আমি নিজে খুব আগ্রহ বোধ করছিলাম সুভাষ-দার সঙ্গে থাকার ব্যাপারে। বেশ একটা উপভোগ্য অভিজ্ঞতা হবে নিঃসন্দেহে।
সে’সময়ের ড্যালহৌসী স্কোয়্যার, আজকের বি-বা-দী (বিনয়-বাদল-দীনেশ) বাগ এলাকায় সাকলাত প্লেস নামে একটা বহুতল বাড়ির পাঁচতলায় গ্যালারীর জন্য একটা বড় হলঘর ভাড়া নিয়েছিলেন সুভাষ-দা। হলের সঙ্গে সংলগ্ন আরেকটি ঘর, অনেকটা চারদিক ঢাকা লম্বা বারান্দার মতো, যেটাতে চেয়ার-টেবিল সাজিয়ে অফিস হিসেবে ব্যবহার করা যায়, এবং হলঘর লাগোয়া একটি টয়লেট্। ঐ বাড়ির মালিকপক্ষ এমন ডিজাইনের অ্যাপার্টমেন্ট কেন বানিয়েছিলেন জানি না, সম্ভবত কোন কনফারেন্স বা ঐ জাতীয় অনুষ্ঠানের কথা মাথায় রেখে। সেখানে গিয়ে দেখলাম সুভাষ-দা এবং তাঁর সহায়করা খুব সুন্দরভাবে সব সাজিয়ে তুলছেন, কাজ প্রায় শেষের দিকে। হলঘরের চার দেওয়ালে ধবধবে সাদা রঙ করার, বিভিন্ন আকারের ছবি টাঙানোর, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে, হালকা রঙের কয়েকটা ভারী পর্দাও ঝোলানো হয়েছে। সব মিলিয়ে যথেষ্ট রুচিসম্মত পরিবেশের প্রদর্শশালা গড়ে উঠছে। একটাই সমস্যা, ছবি দেখার জন্য দর্শকদের পাঁচতলা পর্যন্ত টানা কিছুটা মুস্কিল তো হবেই। সুভাষ-দা বললেন যে লিফট্ তো আছেই, সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হবে না কাউকে, আর নামী শিল্পীদের কাজ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে পারলে দর্শক সমাগম নিশ্চয় হবে। একবার পরিচিতি পেয়ে গেলে পাঁচতলা কোন বাধা হবে না বলেই তাঁর ধারণা।
‘আরেকটা প্র্যাক্টিক্যাল বিষয় হলো,’ সুভাষ-দা বললেন, ‘যে ভাড়ায় জায়গাটা পাচ্ছি তাতে এই এলাকায় একতলায় কিছু পাওয়া অভাবনীয়। দেখা যাক না কিছু দিন, আমার দীর্ঘকালের স্বপ্ন এটা।’ মানতেই হবে, স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করার জন্য অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে সমঝোতা করতে হয়।
প্রদর্শশালার নামকরণ করলেন সুভাষ-দা ‘গ্যালারী ইউনিক’। নামটা আমার বেশ পছন্দ হলো। সাজসজ্জার কাজ সম্পূর্ণ হলে বাংলা-ইংরেজি খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়ার এবং প্রচারপত্র ছাপিয়ে একাডেমী অভ্ ফাইন আর্টস্ চত্বরে, সরকারী আর্ট কলেজে আর কয়েকটি বিদেশী কনস্যুলেট-এ বিতরণের ব্যবস্থা করলেন তিনি। এসব কাজে আমার নিজের প্রত্যক্ষ কোন ভূমিকা ছিলো না। ইতিমধ্যে সুভাষ-দা গ্যালারী উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক করে ফেললেন। এই প্রথম প্রদর্শনীতে নিজের কাজ উপস্থাপিত করায় সম্মত হলেন প্রবীণ শিল্পী সুনীলমাধব সেন। সংবাদমাধ্যমের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতে চেয়েছিলেন সুভাষ-দা। আমার মনে পড়ে বাংলা ‘যুগান্তর’ পত্রিকার সম্পাদক অমিতাভ চৌধুরী, ইংরেজি ‘অমৃতবাজার পত্রিকা’র সুপরিচিত চলচ্চিত্র ও কলা সমালোচক নির্মল কুমার ঘোষ (এন.কে.জি) এবং ‘দ্য স্টেটস্ম্যান’ পত্রিকার অন্যতম সম্পাদক সুনন্দ কে. দত্তরায়কে আমন্ত্রণ জানাতে যাওয়ার সময়ে সুভাষ-দার অনুরোধে আমি তাঁর সঙ্গী হয়েছিলাম। এঁরা ছাড়াও আরো কয়েকজন সাংবাদিক-প্রতিবেদক এবং ব্যক্তিগতভাবে আমাদের পরিচিত কয়েকজনকেও উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিলো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যথেষ্ট উৎসাহব্যঞ্জকই হয়েছিলো। শিল্পী সুনীলমাধব তো উপস্থিত ছিলেনই, আমন্ত্রিত সাংবাদিকরাসহ অন্যান্য অভ্যাগতরাও সবাই এসেছিলেন। বিভিন্ন বয়সের কয়েকজন শিল্পানুরাগী সাধারণ দর্শকও, যাঁরা কোনওভাবে আমাদের গ্যালারীর কথা জানতে পেরেছিলেন, এসেছিলেন, হয়তো কৌতূহলবশতই। তবে সব মিলিয়ে আমরা বেশ উৎসাহবোধ করছিলাম। সুভাষ-দার দীর্ঘদিন লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়ায় তাঁকে যথেষ্টই উৎফুল্ল দেখাচ্ছিলো। সুনীলমাধবের কাজ তো শিল্পরসিক মাত্রের কাছে সমাদৃত, সুতরাং প্রদর্শিত ছবিগুলো নিশ্চয়ই আগন্তুকদের সকলেরই ভালো লেগেছিলো। ছবি কেনার কোন প্রস্তাব অবশ্য সেদিন আসেনি। দু-চার দিনের মধ্যেই বাংলা ও ইংরেজি কাগজগুলোতে গ্যালারী ইউনিক-এর প্রথম শিল্পকলা প্রদর্শনীর খবর ছাপা হলো। প্রতিবেদকরা সকলেই প্রদর্শশালার প্রশংসা করেছিলেন। একটি প্রতিবেদনে যেমন লেখা হয়েছিলো: “এমন একটি মনোরম পরিবেশে ছবি দেখার তৃপ্তির তুলনায় পাঁচতলায় চড়া দর্শকের কাছে আয়াসসাধ্য মনে হবে না।” এর পর থেকে প্রতিদিনই একটি-দুটি ছবি বিক্রী হওয়া শুরু হয়েছিলো। সুনীলমাধবের কাজ ব্যক্তিগত সংগ্রহে রাখায় আগ্রহী লোকজনের সংখ্যা ও তাদের দাম সে সময়ের শিল্পকলার বাজারে ভালোই ছিলো। একটি কাজ যেমন ছিলো ঠিক রঙ-তুলি দিয়ে আঁকা ছবি নয়, বোর্ডের ওপরে গালা দিয়ে তৈরী করা বা আঁকা একটা ষাঁড়ের মাথা। কত দাম ছিলো ঠিক মনে নেই তবে কম কিছু নয়, কিন্তু এক ভদ্রলোকর সেটা দেখে এতই পছন্দ হয়ে গেলো যে তিনি দ্বিরুক্তি না করে সেটা কিনে ফেললেন। আরেকটি কাজ ছিলো একই মাধ্যমে তৈরী গণেশের প্রতিকৃতি, সেটাও বেশ চড়া দামেই বিক্রী হয়েছিলো। অ্যামেরিকান কনস্যুলেট-এর একজন কর্মকর্তা স্ত্রীকে নিয়ে এসেছিলেন প্রদর্শনী দেখতে। মহিলা কিনেছিলেন সাদা কার্ট্রিজ পেপারের ওপরে কালো রঙে আঁকা আলিঙ্গনবদ্ধ এক জোড়া যুবক-যুবতীর ছবি। সুনীলমাধবের এই প্রদর্শনীর মেয়াদ ছিলো তিন সপ্তাহ। বিক্রীত শিল্পকর্মের দামের একটা শতাংশ গ্যালারীর প্রাপ্য কমিশন হিসেবে। সেই সূত্রে এই প্রদর্শনী থেকে সুভাষ-দার প্রাপ্তি খুব খারাপ হয়নি।
এর দু’সপ্তাহ পর দ্বিতীয় প্রদর্শনী। এবারের শিল্পী সুনীল দাস, যাঁর আঁকা বিভিন্ন ভঙ্গিমায় ঘোড়ার ছবি, রঙিন ও সাদা-কালো দুইই, শিল্পরসিকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়েছিলো। সুনীল দাস তখন প্রবীণ শিল্পী নন, ঐ সময়ে তাঁর বয়স চল্লিশের বেশি নয়, তবে যথেষ্টই নামডাক হয়েছে। তাঁর প্রদর্শনী চলেছিলো চার সপ্তাহ এবং তাঁর ছবিও বিক্রী হয়েছিলো বেশ কয়েকটা। সুনীল দাসের সঙ্গে দেখাসাক্ষাতের কোন সুযোগ এর পরে হয়নি আমি বিলেতে চলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত। পরবর্তী তিন দশকের মধ্যে একবার আমি কলকাতায় এলে কোন একটা উপলক্ষে তাঁর সঙ্গে আবার দেখা হয়। তখন তিনি খুবই অসুস্থ, চলাফেরা বিশেষ করতে পারেন না, আঁকাজোকাও বন্ধই। তবে গ্যালারী ইউনিক-এ তাঁর কাজের প্রদর্শনীর কথা উল্লেখ করায় তিনি বললেন যে তাঁর মনে আছে সেটা, আমাকেও মনে করতে পারলেন ভাসা ভাসা। এর কিছু দিন পরেই তাঁর মৃত্যুসংবাদ পেয়েছিলাম।
এর পর দীর্ঘদিন, তা প্রায় মাস তিনেক তো হবেই, গ্যালারী ইউনিক-এ কোন প্রদর্শনীর আয়োজন করা সম্ভব হয়নি বিভিন্ন কারণে। কলকাতার সমসাময়িক শিল্পীরা এই প্রদর্শশালার প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন না। উদীয়মান শিল্পীরা, যেমন গণেশ পাইন, ধর্মনারায়ণ, বিকাশ ভট্টাচার্য প্রমুখ, নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছিলেন কিন্তু প্রদর্শনীর ব্যাপারে তাঁদের কেমন একটা অনীহা ছিলো। তারপর ওড়িশার একজন শিল্পী, নাম প্রফুল্ল মহান্তি, যিনি বাংলার দর্শকদের সামনে তাঁর কাজের নমুনা পেশ করায় আগ্রহী ছিলেন, গ্যালারী ইউনিক-এ প্রদর্শনী করতে রাজি হলেন। ইনি প্রধানত ‘অ্যাবস্ট্র্যাক্ট’ বা বিমূর্ত ধরনের কাজ করতেন। ওড়িশায় তিনি যথেষ্ট পরিচিত শিল্পী ছিলেন, যদিও বাংলা তথা কলকাতায় ততটা নয়। তাঁর কাজ দেখতে প্রদর্শশালায় দর্শক সমাগম মন্দ হয়নি তবে ছবির বিক্রী কিছুটা নৈরাশ্যজনকই ছিলো।
প্রফুল্ল মহান্তি প্রসঙ্গে একটা আশ্চর্য কাকতালীয় অভিজ্ঞতা হয়েছিলো আমার প্রায় বছর পনেরো পরে, লন্ডনে। এক গ্রীষ্মের অপরাহ্নে ঊর্মি আর আমি সাউথব্যাংকে টেমস্-এর ধারে হাঁটছি। পাশে সারি দিয়ে রয়্যাল ফেস্টিভ্যাল হল, ক্যুইন এলিজাবেথ হল, ন্যাশনাল ফিল্ম থিয়েটার, লন্ডন অ্যাকোয়ারিয়াম ইত্যাদি। এদের মধ্যে প্রথম দু’টিতে শিল্পকর্মের প্রদর্শনী আয়োজিত হয় মাঝেমধ্যে। ক্যুইন এলিজাবেথ হলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ে হঠাৎ চোখে পড়লো তার প্রবেশপথের ধারে স্ট্যান্ডে বসানো একটা বিজ্ঞপ্তি - ‘এক্সিবিশন অভ্ পেইন্টিংস্ বাই ইন্ডিয়ান আর্টিস্ট’। কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে গেলাম সেদিকে, দেখি বিজ্ঞপ্তিতে লেখা শিল্পীর নাম , ‘প্রফুল্ল মহান্তি’! আমি তো যারপরনাই অবাক। দরজা পেরিয়ে প্রদর্শশালার ভেতরে ঢুকতেই দেখলাম এক ধারে একটা টেবিলের ওপারে সত্যিই একজন পরিচিত মুখের মানুষ। গত দেড় দশকে চেহারার কিছুটা পরিবর্তন অবশ্যই হয়েছে, কিন্তু চেনা যায় না এমনটা নয়। এত বছর পরে এভাবে সুদূর বিদেশে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়ে যাবে, ভাবা যায়! সামনে গিয়ে দাঁড়াতে তিনি মুখ তুলে চাইলেন, চোখে জিজ্ঞাসু দৃষ্টি, ভারতীয় চেহারার লোক দেখে সামান্য স্মিত হাসিও। ইংরেজিতে বললাম, ‘আমাকে নিশ্চয় মনে নেই আপনার। প্রায় পনেরো-ষোলো বছর আগে কলকাতায় আপনার ছবির প্রদর্শনী হয়েছিলো, প্রদর্শশালার সঙ্গে জড়িত লোকদের মধ্যে আমিও ছিলাম।’ কথাটা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই প্রফুল্ল মহান্তির চোখমুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো, তিনিও ইংরেজিতেই উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, মনে পড়েছে। চিনেছিও আপনাকে, চেহারা বিশেষ পালটায়নি। কলকাতায় প্রদর্শনীর সময়ে আমার মা এসেছিলেন আমার সঙ্গে। এক সন্ধ্যায় আপনি গাড়ি নিয়ে গিয়ে মা-কে হোটেল থেকে গ্যালারীতে নিয়ে এসেছিলেন। কেমন আছেন?’
‘ভালো আছি,’ বললাম আমি। ঊর্মির সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলাম। হাসিমুখে নমস্কার জানিয়ে প্রফুল্ল বললেন, ‘আপনাদের দেখে খুব ভালো লাগছে, বিলেতেই থাকেন এখন?’
‘হ্যাঁ। আপনি?’
‘আমি দেশেই আছি। তবে এদেশেও আসি-যাই। গত কয়েক বছরে চার-পাঁচবার হয়ে গেলো। ক্যুইন এলিজাবেথ হলেই আমার প্রদর্শনী হলো এই নিয়ে দু’বার। অন্যত্রও হয়েছে।’
তার মানে শেষবার কলকাতায় আমার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর থেকে শিল্পী হিসেবে প্রফুল্ল মহান্তির নামডাক দেশে-বিদেশে বেশ ছড়িয়েছে। ক্যুইন এলিজাবেথ হলের মতো অভিজাত প্রদর্শশালায় একাধিকবার প্রদর্শনীই তার প্রমাণ। খুবই ভালো লাগলো কথাটা শুনে। আরো কয়েক মিনিটের আলাপচারিতার পর ঊর্মি আর আমি বিদায় নিলাম সর্বান্তকরণে প্রফুল্ল মহান্তিকে আমাদের শুভকামনা জানিয়ে।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, গ্যালারী ইউনিক-এর আয়ুষ্কাল দীর্ঘায়িত হলো না। বছর দুয়েক পেরুনোর আগেই প্রদর্শশালাটির দরজা বন্ধ হয়ে গেলো। তার কারণ দু’টি - প্রথমত, কলকাতার (এবং অন্যান্য জায়গারও) শিল্পীদের আশানুরূপভাবে অনুপ্রাণিত করা গেলো না এখানে তাঁদের কাজের প্রদর্শনী করায়। দ্বিতীয়ত, শিল্পীদের অনাগ্রহের দরুণ সুভাষ সিংহরায়ও উৎসাহ হারিয়ে ফেললেন ক্রমে এবং অন্য দিকে মনোনিবেশ করতে লাগলেন উত্তরোত্তর বেশি করে। তাছাড়া গ্যালারী চালু রাখার ব্যয় সংকুলান করাতেও তাঁর বেশ সমস্যা হচ্ছিলো। শেষমেষ তিনি ঝাঁপ বন্ধ করারই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। আমাকে বলেছিলেনও তিনি, ‘জমানো পুঁজি শেষ হয়ে আসছে, বুঝলে। আর টানতে পারছি না।’ কথাটা শুনে খারাপ লেগেছিলো অবশ্যই, কিন্তু রূঢ় বাস্তবেেক তো মানতেই হবে। সুভাষ-দার নিজের কথাতেই , ‘অনেক দিনের স্বপ্ন ছিলো একটা, পূরণের চেষ্টা করলাম যথাসাধ্য। পুরোপুরি না হলেও খানিকটা তো পূরণ হলো। তাই বা মন্দ কী?’
ছবিঃ গুগল
এস.এম. সুলতান : আমাদের চিত্রশিল্প জগতের আদমসুরত
23 Jan 2025
5185 বার পড়া হয়েছে
রাজনীতির টেবিলে…
16 Jan 2025
4370 বার পড়া হয়েছে
সঞ্জীব চৌধুরীকে স্মরণ: ছিলো গান ছিলো প্রাণ
2 Jan 2025
5145 বার পড়া হয়েছে
নতুন বোতলে পুরনো তারিখ
2 Jan 2025
3415 বার পড়া হয়েছে
সৈয়দ শামসুল হক ৮৯ তম জন্মদিনে শ্রদ্ধা
27 Dec 2024
4250 বার পড়া হয়েছে
চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়…
19 Dec 2024
3880 বার পড়া হয়েছে
চলে গেলেন আত্মিক দু‘জন মানুষ
13 Dec 2024
2695 বার পড়া হয়েছে
ডিসেম্বরের সেই দিনরাত্রিগুলি
5 Dec 2024
2665 বার পড়া হয়েছে
কোথায় যাচ্ছেন এলোমেলো বাবু
21 Nov 2024
2905 বার পড়া হয়েছে
শীতের চিঠির দ্বিতীয়াংশ
21 Nov 2024
2650 বার পড়া হয়েছে
শীতের চিঠির প্রথমাংশ
14 Nov 2024
2060 বার পড়া হয়েছে
তোমরা ফেলে দাও আমি তুলে রাখি
14 Nov 2024
2300 বার পড়া হয়েছে
বিদায়ী অভিবাদন, রাজনীতির শুদ্ধ ব্যক্তিত্ব অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরী
17 Oct 2024
2080 বার পড়া হয়েছে
পূজার ছুটিতে…
10 Oct 2024
2060 বার পড়া হয়েছে
অর্থহীন ভাবনার ভেতর দিয়েই কখনও কখনও বেরিয়ে আসতো মূল ভাবনা
27 Jun 2024
2615 বার পড়া হয়েছে
ষাটের পথে ষাটের স্মৃতি …
27 Jun 2024
2470 বার পড়া হয়েছে
প্রফেশনাল জেলাসি আর অহংকার এক বিষয় নয়…
30 May 2024
2755 বার পড়া হয়েছে
সুর করা…
3 May 2024
3955 বার পড়া হয়েছে
আমার বৃক্ষের…
25 Apr 2024
5105 বার পড়া হয়েছে
ব্যান্ড করার ফর্মুলা
14 Mar 2024
2950 বার পড়া হয়েছে
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি
29 Feb 2024
3215 বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর আকাশে এক পশলা বৃষ্টি
22 Feb 2024
4835 বার পড়া হয়েছে
জন্মস্থানে লালগালিচা সংবর্ধনা পেলেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি
22 Feb 2024
2860 বার পড়া হয়েছে
আমাদের ব্যান্ডের গান কি সম্পূর্ণ ওয়েস্টার্ন
8 Feb 2024
2945 বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর আকাশে এক পশলা বৃষ্টি
8 Feb 2024
3140 বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর আকাশে এক পশলা বৃষ্টি
1 Feb 2024
3030 বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর আকাশে এক পশলা বৃষ্টি
25 Jan 2024
4195 বার পড়া হয়েছে
প্রিয় আজম ভাই...
18 Jan 2024
3630 বার পড়া হয়েছে
সেই এক ট্রেনের গল্প
18 Jan 2024
2775 বার পড়া হয়েছে
স্টেজ পারফর্মেন্সর জন্য প্রযোজনীয় কিছু কথা…২
11 Jan 2024
2860 বার পড়া হয়েছে
অন্তরালে অসাধারণ রাশিদ খান…
11 Jan 2024
2280 বার পড়া হয়েছে
স্টেজ পারফর্মেন্সর জন্য প্রযোজনীয় কিছু কথা…
4 Jan 2024
3120 বার পড়া হয়েছে
বিকেলে বউ বাজার
28 Dec 2023
4365 বার পড়া হয়েছে
মানুষ ডাহুকও বটে
16 Dec 2023
2085 বার পড়া হয়েছে
বিজয়ের মাসে পথে শোনা কথা
13 Dec 2023
3985 বার পড়া হয়েছে
জীবন যেখানে যেমন...
7 Dec 2023
4515 বার পড়া হয়েছে
আবেগের লাগাম না হারানো শোভন, হারানোটা অনিরাপদ
17 Nov 2023
4415 বার পড়া হয়েছে
পাতা-ঝরার দিনগুলো
19 Oct 2023
6080 বার পড়া হয়েছে
একজন সোহান ভাই…
14 Sept 2023
4965 বার পড়া হয়েছে
চিঠিতে জানাবেন মোহন ভাই
1 Jun 2023
8920 বার পড়া হয়েছে
ভারতের ডুয়ার্সে বার্ডিং…
20 Apr 2023
4165 বার পড়া হয়েছে
স্পেনের বাস্ক অঞ্চলের আতিথেয়তা ও ভোজন
13 Apr 2023
5050 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৩৪
10 Nov 2022
3045 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৩৩
27 Oct 2022
2595 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৩২
13 Oct 2022
2725 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৩১
29 Sept 2022
2405 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৩০
22 Sept 2022
2405 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২৯
15 Sept 2022
2275 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২৮
8 Sept 2022
2085 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২৭
1 Sept 2022
2815 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২৬
25 Aug 2022
3100 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২৫
18 Aug 2022
2240 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২৪
7 Jul 2022
2090 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২৩
23 Jun 2022
2770 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২২
16 Jun 2022
2235 বার পড়া হয়েছে
শব্দ করে পড়ার বৈচিত্রময় গুরুত্ব বিশ্বকে বুঝতে হবে
12 Jun 2022
1710 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২১
9 Jun 2022
2020 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২০
12 May 2022
2225 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১৯
21 Apr 2022
2190 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১৮
15 Apr 2022
2190 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১৭
7 Apr 2022
2435 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১৬
31 Mar 2022
1955 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১৫
24 Mar 2022
1985 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১৪
17 Mar 2022
2685 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১৩
3 Mar 2022
2135 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১২
24 Feb 2022
2115 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১১
17 Feb 2022
2140 বার পড়া হয়েছে
আমার মুক্তি এই আকাশে
10 Feb 2022
2750 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১০
3 Feb 2022
2285 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৯
30 Dec 2021
2020 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৮
23 Dec 2021
1955 বার পড়া হয়েছে
দুলছে হাওয়ায়
9 Dec 2021
2170 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৭
9 Dec 2021
2240 বার পড়া হয়েছে
আঁধার রাতের জাহাজ
2 Dec 2021
2530 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৬
2 Dec 2021
2090 বার পড়া হয়েছে
কান্না- হাসির দোল-দোলানো
25 Nov 2021
2845 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৫
25 Nov 2021
2140 বার পড়া হয়েছে
কাঠের সেই উটটি
18 Nov 2021
2275 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৪
18 Nov 2021
3130 বার পড়া হয়েছে
নাম না জানা মেয়েটি
11 Nov 2021
1965 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৩
11 Nov 2021
1955 বার পড়া হয়েছে
সবারে আমি নমি
4 Nov 2021
1840 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২
4 Nov 2021
2830 বার পড়া হয়েছে
ফেলেই দিলে
28 Oct 2021
1910 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১
28 Oct 2021
2460 বার পড়া হয়েছে
জীবন জীবনেরই জন্যে
21 Oct 2021
2020 বার পড়া হয়েছে
তার আর পর নেই
7 Oct 2021
1900 বার পড়া হয়েছে
মরচে ধরা টর্চ
23 Sept 2021
1950 বার পড়া হয়েছে
পাতা-ঝরার দিন
16 Sept 2021
2815 বার পড়া হয়েছে
চমকে উঠলাম – ভেতরটা নাড়িয়ে দিল দৃশ্যটা
9 Sept 2021
2085 বার পড়া হয়েছে
আলো-আঁধারির আলেখ্য
2 Sept 2021
1605 বার পড়া হয়েছে
একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে
30 Aug 2021
2045 বার পড়া হয়েছে
আছে-নাই এর আলেখ্য
26 Aug 2021
1630 বার পড়া হয়েছে
জীবন-ছোঁয়া মেয়েটি
12 Aug 2021
2090 বার পড়া হয়েছে
যেতে তো হবেই
5 Aug 2021
2135 বার পড়া হয়েছে
সুতো
29 Jul 2021
2005 বার পড়া হয়েছে
মানুষের খোলস
15 Jul 2021
2100 বার পড়া হয়েছে
মনে আছে তো
8 Jul 2021
1860 বার পড়া হয়েছে
শেকড়ের সন্ধানে
1 Jul 2021
1635 বার পড়া হয়েছে
নীড়ে ফেরা পাখী
17 Jun 2021
1745 বার পড়া হয়েছে
কনে দেখা আলো
10 Jun 2021
2035 বার পড়া হয়েছে
দ্বীপের সেই সব মানুষেরা
3 Jun 2021
2000 বার পড়া হয়েছে
যে দ্বীপের বয়স চার’শো বছর
20 May 2021
1810 বার পড়া হয়েছে
অচেনা দ্বীপের পথযাত্রা
6 May 2021
2035 বার পড়া হয়েছে
আমার প্রতিবাদের ভাষা...
8 Oct 2020
3315 বার পড়া হয়েছে
আয় আয় চাঁদ মামা...
23 Jul 2020
3470 বার পড়া হয়েছে
করোনাকালীন মানসিক স্বাস্থ্য ...
10 May 2020
3355 বার পড়া হয়েছে
দ্বিতীয় সুবীর নন্দী আর পাবে না বাংলাদেশ
7 May 2020
1830 বার পড়া হয়েছে
বাড়ি বদলের আগুনে মিথিলা…
7 Nov 2019
1995 বার পড়া হয়েছে
বিচার চাই…
11 Apr 2019
2040 বার পড়া হয়েছে
মনখারাপের সঙ্গে আড়ি…
25 Dec 2018
2170 বার পড়া হয়েছে
আবার শিব্রাম চক্কোত্তি
20 Dec 2018
3715 বার পড়া হয়েছে
সন্দেশ ১০০
6 Dec 2018
4565 বার পড়া হয়েছে
সেই হাসিমুখ আর দেখবো না…
22 May 2018
2045 বার পড়া হয়েছে
তিলোত্তমা ও একজন...
17 May 2018
1865 বার পড়া হয়েছে
সেটুকু বাকী জীবন মিস করবো
3 May 2018
2410 বার পড়া হয়েছে
প্রাণের মানুষ, কাছের মানুষ
23 Nov 2017
2675 বার পড়া হয়েছে
স্বত্ব © ২০১৬ - ২০২৩ প্রাণের বাংলা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আবিদা নাসরীন কলি।
Email: Article: [email protected], Avertising: [email protected]
Phone: +8801818189677, +8801717256199