ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১৮

সাগর চৌধুরী

লেখক, কলকাতা থেকে

প্রকাশ: 15 Apr 2022

2190 বার পড়া হয়েছে

Shoes

বিশিষ্ট সাংবাদিক সাগর চৌধুরী। একদা কর্মরত ছিলেন বিবিসি’র বাংলা বিভাগে। তারও আগে কলকাতার বিভিন্ন পত্রিকা এবং বার্তা সংস্থায়। একদা নানান কাজের ভিড়ে বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য ইংরেজি সাবটাইটেল রচনার কাজও করেছেন। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, তরুণ মজুমদার, নব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালকদের সিনেমায় তিনি ছিলেন সাবটাইটেল লেখক। এখন এক ধরণের অবসর জীবন যাপন করছেন। বসবাস করেন কলকাতা শহরে। সাংবাদিকতার সঙ্গে সম্পর্ক বেশ কিছুটা মেরুদূর হলেও কলম থেমে যায়নি। বই লিখছেন, অনুবাদ করছেন। সাগর চৌধুরী জীবনকে দেখেছেন নানান কৌণিকে আলো ফেলে। দীর্ঘদিন বিলেতে ছিলেন। ঘুরেওবেড়িয়েছেন নানান দেশে। জীবনও তাকে দেখেছে খুব কাছে থেকে। সেই জীবনপ্রবাহের গল্প শোনাতেই প্রাণের বাংলার জন্য কলম ধরলেন সাগর চৌধুরী। প্রাণের বাংলার পাতায় এখন থেকে জীবনের গল্প বলবেন তিনি।

আঠারো.

চার দশকেরও বেশি আগে উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া এলাকায় বাস করার সময় আমার পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা একজন প্রবীণ ব্যক্তির মৃত্যুর কিছুদিন পর এক রাতে আমার যে আশ্চর্য অভিজ্ঞতা হয়েছিলো তার বিবরণ কিছুদিন আগে লিখেছি। মুমূর্ষু ঐ ব্যক্তির মুখে যখন আমি কয়েক ফোঁটা জল ঢেলে দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম তখনই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কয়েক মূহুর্তের যে ঘটনা আমি সেই রাতে স্বচক্ষে দেখেছিলাম বলে আমার বিশ্বাস, তার কোন ব্যাখ্যা তখনও খুঁজে পাইনি, আজও নয়, চেষ্টাও করিনি পাওয়ার। তবে এই ধরনের ‘ব্যাখ্যার অতীত’ অভিজ্ঞতা কিন্তু আমার পরেও হয়েছে, অদ্যাবধি অন্তত আরো দু’বার। এই দু’টি ঘটনার একটির বিবরণ আজ লিখছি, অন্যটি সময়ান্তরে। আমার দ্বিতীয়, এবং ‘অ-প্রত্যক্ষ’,অভিজ্ঞতার সূচনা কিঞ্চিদধিক ত্রিশ বছর আগে, বিলেতে। ‘সূচনা’ বলছি এজন্য যে ঐ সময়ে †h ‘ghostly entity’ বা ‘ভৌতিক অস্তিত্বের’ সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটে, প্রায় পঁচিশ-ছাব্বিশ বছর ধরে তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল। এই দীর্ঘ সম্পর্কের কারণে তার প্রতি আমার মনে এক ধরনের সখিতার অনুভূতি জন্মে গিয়েছিল, তাকে বেশ আপন-আপন মনে হতো। তার একটা নামও দিয়েছিলাম Ñ ‘ইম্পি’ Ñ ইংরেজি ‘imp’ শব্দটির অপভ্রংশ আর কি। বিস্তারিত বলছি। আমার বিলেত-বাস শুরু হওয়ার বছর চারেক পর ইম্পির সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়। তখন আমরা, অর্থাৎ ঊর্মি ও আমি, উত্তর লন্ডনের এক আবাসিক এলাকায় বাড়ি কিনে আমাদের ছেলেকে নিয়ে বসবাস শুরু করেছি। আমাদের দু’পাশের দুই বাড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গেও বেশ ভাব হয়ে গেছে। একটা বাড়ির মালিক ছিলেন আমাদের চেয়ে বয়সে অনেকটাই বড় এক ইংরেজ দম্পতি। দুজনেই কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়েছেন কয়েক বছর আগে, এখন তাঁদের সময় কাটে প্রধানত পাড়া-প্রতিবেশীদের খোঁজখবর নিয়ে আরবাড়ির সামনের ও পেছনের বাগানের পরিচর্যা করে। ভদ্রলোক তো মাঝে মাঝেই আমাদের বাগানেরও ঘাস ছাঁটা ইত্যাদি টুকিটাকি কাজ করে দিতেন স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে। আমাদের প্রতি ওঁদের দুজনেরই মধ্যে বেশ একটা অভিভাবকসুলভ ¯েœহেরভাব ছিল। আমরা কাজ থেকে ফেরার পর কোন সন্ধ্যায় হয়তো ওঁদের বা আমাদের বাড়ির বাগানে বসে একটু গল্পগুজব করতাম । তেমনই এক সন্ধ্যায় মনে আছে সেদিন ছিল শুক্রবার Ñ আমাদের বাগানে বসে আমরা কথাবার্তা বলছিলাম। তার ফাঁকে ভদ্রলোককে উদ্দেশ্য করে আমি বললাম, আমাদের ঠিকানায় কাউন্সিলের (স্থানীয় পৌর পরিষদের) কাছ থেকে একটা চিঠি এসেছে কি একটা ট্যাক্সের ব্যাপারে, আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না।
তুমি একটু দেখে বলে দেবে কী চায়? তিনি বললেন, অবশ্যই, দেখাও আমাকে।
আমি বললাম, লিভিং রূমের টেবিলের ওপরেই আছে, নিয়ে আসছি।
বসার ঘরে গিয়ে দেখি টেবিলের ওপরে চিঠিটা নেই। একটা বই চাপা দিয়ে রেখেছিলাম সেটা, বইটা যথাস্থানেই রয়েছে কিন্তু চিঠিটা নেই।
ঊর্মিকে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম, চিঠিটা কোথায় গেল বলো তো?
ঊর্মি একটু অবাক হয়ে বললো, আমিও তো দেখলাম চিঠিটা টেবিলের ওপরে রেখে তুমি ঐ বইটা দিয়ে চাপা দিলে, যাতে বাতাসে উড়ে না যায়। তাহলে কোথায় যেতে পারে ওটা? বইটা যখন রয়েছে দু’জনে এদিকে-ওদিকে খুঁজলাম, কোথাও চোখে পড়লা না। বাগানে ফিরে এসে প্রতিবেশীকে বললাম, আশ্চর্য কা-, চিঠিটা অদৃশ্য হয়ে গেছে। তিনি হেসে বললেন, আছে কোথাও, পেয়ে যাবে। তখন দেখবো। একটু পরে প্রতিবেশীরা বিদায় নিলেন। তাঁরা চলে যাওয়ার পর বসার ঘরের এদিকে-ওদিকে আরেকবার চোখ বোলালাম, চিঠিটা দেখতে পেলাম না।

পরদিন শনিবার, সাপ্তাহান্তিক ছুটির প্রথম দিন। এদিনটা সাধারণত যথেষ্ট ব্যস্ততার মধ্যেই কাটে। বাজার করা, ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ঢোকানো, ধোয়া কাপড় মেলে দেওয়া, ঘরদোর ঝাড়পোঁছ করা, সবই এই দিনের জন্য বরাদ্দ। কাজেই সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রেক্ফাস্ট খাওয়ার পরই এসব কাজে লেগে পড়তে হয়। সেদিনও সব কাজ সারতে যথেষ্ট বেলা হয়ে গেল, তারপর ¯œান আর লাঞ্চ। ঊর্মি চলে গেল শোবার ঘরে, ছুটির দিনে বাড়িতে থাকলে ওর দিবানিদ্রার নিয়মিত অভ্যাসে সাড়া দিতে, আমি লিভিং রূমে এসে বসলাম। টিভি চালানোর জন্য রিমোট কন্ট্রোলারটা হাতে নিয়ে সেদিকে তাকিয়েছি, চোখ পড়লো টিভির পাশে রাখা ম্যাগাজিন র‌্যাকের দিকে। তার মধ্যে গুঁজে রাখা পত্রিকাগুলোর পেছন থেকে উঁকি দিচ্ছে একটা বাদামি রঙের খাম, চেনা চেনা লাগছে। সোফা থেকে উঠে খামটা তুলে নিয়ে দেখি আরে! এটা তো গতকাল সন্ধ্যায় টেবিলের ওপর থেকে উধাও হয়ে যাওয়া কাউন্সিলের চিঠিটা। এখানে এলো কীভাবে? বেশ খানিকক্ষণ মাথা ঘামিয়েও বুঝে উঠতে পারলাম না এটা কী করে সম্ভব। ভূতুড়ে কা-! শেষ বিকেলে ঊর্মি ঘুম থেকে ওঠার পর ওকে চিঠিটার পুনরাবির্ভাবের কথা বললাম। ও নিঃস্পৃহভাবে কেবল বললো, তুমিই হয়তো কখনো রেখেছিলে ওখানে, তোমার যা ভুলো মন। সন্ধ্যার পর পাশের বাড়ির ভদ্রলোককে চিঠিটা দেখাতে গিয়ে যখন বললাম কীভাবে ওটা পাওয়া গেছে, তিনিও ঊর্মির মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করলেন। আমার মনের ধন্দ কিন্তু কাটলো না।

কিছুুদিনের মধ্যেই অবশ্য টের পেতে শুরু করলাম মনের ধন্দ কেন কাটতে চাইছিল না। কাউন্সিলের চিঠিটা অদ্ভূতভাবে উধাও হয়ে যাওয়ার এবং একই রকম অদ্ভূতভাবে আবার ফিরে আসার মতো ঘটনা ঘটতে লাগলো নিয়মিতভাবে দু-চারদিন পর পর। হয়তো দোতলার ঘরে টেবিলে বসে কিছু লিখছি, এমন সময় একতলায় টেলিফোন বাজতে হাতের কলমটা নামিয়ে রেখে নিচে গেলাম। দু’মিনিট বাদেই ফিরে এসে দেখি কলমটা নেই। নেই তো নেই-ই, কোথাও খুঁজে পেলাম না। খুব যে একটা সমস্যা হলো তা নয়, অন্য একটা কলম দিয়ে কাজ চালালাম। অথচ পরের দিন ঐ ঘরে ঢুকেই দেখি হারানো কলম টেবিলের ওপর যথাস্থানেই শুয়ে আছে। বিছানায় শুয়ে একটা বই পড়তে পড়তে হয়তো সেটা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েছি, ঘুম থেকে উঠে দেখি সেটা বালিশের পাশে নেই। অনেক পরে দেখা গেল বইটা লিভিং রূমের বুকশেল্ফে সযতেœ গুঁজে রাখা। রোজ অফিসে যাওয়ার সময় যে ব্রীফকেসটা সঙ্গে নিয়ে যাই, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথমেই সেটার মধ্যে দরকারি কাগজপত্র, পার্স, পাতাল রেলে যাতায়াতের সময় পড়ার জন্য একটা বই ইত্যাদি গুছিয়ে রাখি, বেরোবার সময় হাতে নিয়ে বেরোই। একদিন যথারীতি ব্রীফকেস হাতে ট্রেনে ওঠার একটু পরে সেটা খুলে দেখি ভেতরে সবই আছে কিন্তু বইটা নেই। কোথায় গেল? সকালে ব্রীফকেসে ঢোকাতে ভুলে গিয়েছি? এমন ভুল তো আগে কোনদিন হয়নি। দিনের শেষে বাড়ি ফিরে সম্ভাব্য নানা জায়গায়, আমার লেখার টেবিলে, সর্বত্র খুঁজলাম, কোথাও পাওয়া গেল না। মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল, বইটার একটা দারুণ জমাটি জায়গায় এসে গিয়েছিলাম, শেষটুকু পড়া হলো না। যাক্গে, কী আর করা যাবে, কাল আরেকটা কপি কিনে নেবো। পরদিন করলামও তাই, অফিস যাওয়ার পথে ডাব্লিউ. এইচ. স্মিথ নামে দোকানটায় ঢুকে বইটা কিনে নিলাম। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে ঘরে ঢুকে জামাকাপড় পালটাচ্ছি, হঠাৎ চোখে পড়লো টেবিলের ওপরে ডেস্কটপ্ কম্পিউটারটার পেছন থেকে উঁকি দিচ্ছে একটা বই। হাত বাড়িয়ে সেটা টেনে এনে দেখি হারিয়ে যাওয়া বইটা। যারপরনাই অবাক হয়ে হাতে ধরা বইটার দিকে তাকিয়ে নিজের মনেই বললাম, কী আশ্চর্য! ঐ জায়গাটাতেও তো আমি খুঁজেছি গতকাল সন্ধ্যায়, কিন্তু তখন কেন দেখতে পাইনি? ঠিক ঐ মূহুর্তে আমার ঘাড়ের কাছে, কানের পাশে, কে যেন হেসে উঠলো। অতি ক্ষীণ, প্রায় বাতাসের মৃদু ঝির-ঝির শব্দের মতো, কৌতুকের হাসি। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য। চমকে পিছন ফিরলাম, কেউ নেই, ঘরে আমি একা। অথচ যতই ক্ষীণ হোক, হাসির শব্দ আমি যে শুনেছি তাতে সন্দেহ নেই। কার হাসি? আমার চিঠি,কলম, বই যে লুকিয়ে রাখে, আবার ফিরিয়েও দেয়, তারই কি? তার ছাড়া আর কার হবে? কেউ যেন একটা মজার খেলা খেলছে, খুনসুটি করছে আমার সঙ্গে। তাকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না, তবে সে যে আছে তা বোঝাই যাচ্ছে।

এইভাবেই ইম্পির সঙ্গে আমার পরিচয়ের সূত্রপাত। ততদিনে ঐ নামেই ডাকতে শুরু করেছি আমার এই অদৃশ্য বন্ধুকে। ‘বন্ধু’ ছাড়া আর কী বলবো? ঐ বাড়িতে আমরা বাস করেছি পঁচিশ বছরেরও বেশী, বিলেত ছেড়ে কলকাতায় চলে আসার আগে পর্যন্ত। এই দীর্ঘ সময়ে কতবার যে তার সঙ্গে আমার মোলাকাত হয়েছে তার হিসেব নেই, কিন্তু কখনোই ইম্পি এমন কিছু করেনি যার জন্য আমার কোন ক্ষতি হয়েছে বা হতে পারতো। আমাদের সম্পর্ক বরাবরই ছিল দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মধ্যে যেমনটা হয়, দুষ্টুমি আর নির্দোষ ফষ্টিনষ্টির সম্পর্ক। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, ইম্পির এই লুকোচুরি খেলা ছিল একমাত্র আমার সঙ্গেই। একমাত্র আমার জিনিষই ইম্পি লুকিয়ে রাখতো, দু-একদিন পর আবার ফেরতও দিতো, তার ফিস্ফিস্ হাসির শব্দ শুনতে পেতাম একমাত্র আমিই, বাড়ির আর কেউ নয়। অতিথি হয়ে আমাদের বাড়িতে প্রায়ই দিন কয়েক কাটাতেন দেশবিদেশ থেকে আসা যে বন্ধুবান্ধবরা, তাঁদেরও কেউই কোনদিন কোনভাবে ইম্পির অস্তিত্ব টের পাননি। যখনতখন আমার আশেপাশে তার উপস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত আমি এত অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম যে দু-তিনদিন তার সাড়া না পেলে আমি যেন একটু অস্থির বোধ করতে শুরু করতাম। একমাত্র আমাকেই কেন সে বেছে নিয়েছিল তার সখা হিসেবে, কেনই বা অন্য কেউই তার অস্তিত্ব অনুভব করতে পারতো না তা কখনোই বুঝে উঠতে পারিনি। ঊর্মিকে, বা আমাদের প্রতিবেশীদের কিংবা কোন বন্ধুকে দু-একবার ইম্পির কথা বলার চেষ্টা করেছি, কিন্তু সবাই হেসে উড়িয়ে দিয়েছে। ঊর্মির এবং বন্ধুদের অবশ্য ধারণা যে উদ্ভট গল্প ফাঁদা আমার বরাবরের অভ্যাস, তাই ইম্পির গল্প শুনে মজা পেয়েছে সবাই কিন্তু বিশ্বাস করেনি। এই বাড়িতে আমাদের আগে যে পরিবারটি বাস করেছে তাদের কারো এমন অভিজ্ঞতা কখনো হয়েছিল কিনা তা জানি না। আমাদের পাশের দুই বাড়ির বন্ধুরাও ঐ পরিবারের প্রতিবেশী ছিলেন, তাঁরাও কিছু বলেননি। সে যাই হোক, ইম্পির সঙ্গে সখিতা আমার নিজের কাছে পুরোপুরি বাস্তব, তাকে কখনো চোখে না দেখলেও তার সান্নিধ্য আমি সত্যিই উপভোগ করেছি। বিলেত ছেড়ে চলে আসার পর তার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছে। চিরবিচ্ছেদই বলা যায়, কারণ এখন লন্ডনে গেলেও আমাদের পুরানো বাড়িতে যাওয়ার কোন কারণ ঘটে না। আমাদের দু’পাশের প্রতিবেশী বন্ধুরাও আগেই ঐ পাড়ার পাট চুকিয়ে শহরতলির দিকে চলে গেছেন। আমার ‘অদৃশ্য’ সখা এখন কেমন আছে, আমাদের ঐ বাড়ির বর্তমান বাসিন্দাদের কারো সঙ্গে তার সখ্যের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে কিনা, জানি না।

ছবিঃ গুগল

মন্তব্য করুন

Share Article

আরো পড়ুন

আরো পড়ুন

স্বত্ব © ২০১৬ - ২০২৩ প্রাণের বাংলা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: আবিদা নাসরীন কলি।

Email: Article: [email protected], Avertising: [email protected]

Phone: +8801818189677, +8801717256199