মনরোর সেই নগ্ন ছবি

প্রাণের বাংলা ডেস্ক

এডমিন ডেস্ক, ঢাকা থেকে

প্রকাশ: 14 Oct 2021

2230 বার পড়া হয়েছে

Shoes

ফিরে তাকালে ক্যালেন্ডারের পাতায় ৭২ বছর পিছিয়ে যেতে হয়। কিন্তু সে তো আর সম্ভব নয়। শরীর উন্মোচিত করে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর গল্পটা এক বেকার এবং তারকাখ্যাতি পেতে হলিউডে আসা মোহনীয় নারীর জীবনের পথকে পাল্টে দিয়েছিলো। সময়টা ছিলো ১৯৪৯ সালে আর তিনি মেরিলিন মনরো। হাতে টাকা নেই। কিন্তু ধারে গাড়ি কেনার টাকা শোধ করতে হবে মনরোকে। তাই পরিণতি না-ভেবেই তিনি চলে গিয়েছিলেন তখনকার এক বিখ্যাত পিনআপ আলোকচিত্রী টম কেলীর কাছে। টমের ক্যামেরার সাটার পড়তে দেরি করেনি সেদিন। মনরোর নিরাভরণ শরীর ফ্ল্যাশ বাল্বের সামনে ঝিকিয়ে উঠেছিলো। বিনিময়ে ৫০ ডলার এসেছিলো ভ্যানিটি ব্যাগে। নগ্ন ছবি তোলার জন্য মনরো এই পারিশ্রমিকই পেয়েছিলেন। দুই ঘন্টার সেই ফটোশ্যুটের পর কেলী মনরোকে কথা দিয়েছিলেন ছবিতে তার চেহারা স্পষ্ট বোঝা যাবে না। কিন্তু ১৯৫৩ সালে সেই ছবি যখন প্লেবয় পত্রিকার প্রচ্ছদে ছাপা হলো তখন বোমা ফাটার মতো প্রতিক্রিয়া হলো। কারণ মেরিলিন মনরো ততদিনে আকাশ ছুঁয়ে দিয়েছেন।

মনরোর ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার জর্জ বারিস ১৯৯৫ সালে বই প্রকাশ করেন-মেরিলিন: হার লাইফ ইন হার ওন ওয়ার্ডস।মনরো এই বন্ধুটিকে তিনি তাঁর জীবনের অনেক একান্ত কথা বলতেন। বরিস সেই কাহিনি জোড়া দিয়ে বই প্রকাশ করেন। বই থেকে জানা যায়, সেই ছবি তোলার দিনে মনরো নিজের প্রকৃত নাম লুকিয়ে লিখেছিলেন ‘মোনা মনরো। কেন নিজেকে আড়াল করতে চেয়েছিলেন মনরো? তার তো তখন হারানোর কিছু ছিলো না! প্রশ্নের উত্তরে মনরোর সোজাসাপ্টা উত্তর, ভয় পেয়েছিলাম হয়তো। খারিকটা লজ্জিতও।

কেলী মনরোর ছবিগুলো ৯০০ ডলারে বিক্রি করেছিলেন ওয়েস্টার্ন লিথোগ্রাফ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে। তারা সে বছর প্রকাশিত একটি ক্যালেন্ডারে মনরোর নগ্ন ছবি ছেপে দেয়। তখনও প্লেবয় পত্রিকা মাঠে নামেনি। সিনেমায় অভিনয় করে মেরিলিন মনরো সেই ঘটনার কয়েক বছর পরে তারকাখ্যাতিও পেয়ে গেছেন। ঠিক তখনই ১৯৫৩ সালে প্লেবয় পত্রিকার মালিক হিউ হেফনারের হাতে আসে মনরোর ছবিগুলো। ৫০০ ডলারে কেনা ছবিগুলো প্লেবয় পত্রিকার  প্রথম সংখ্যার সেন্টার স্প্রেডে ছাপা হয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে মনরোর সঙ্গে হেফনারের তখনও দেখাই হয়নি। হেফনারও ছবির জন্য অভিনেত্রীকে একটি টাকাও দেননি। হেফনারের সঙ্গে মনরোর আর কোনোদিনই দেখা হয়নি। ১৯৬২ সালে আত্মহত্যা করেন মেরিলিন মনরো। মজার ব্যাপার হচ্ছে হেফনার ১৯৯২ সালে ওয়েস্টউড পার্ক মেমরিয়াল সেমেট্রিতে মনরোর কবরের পাশে নিজের কবরের জন্য জায়গা কেনেন। এই প্লট কিনতে তাকে গুনতে হয়েছিলো ৭৫ হাজার ডলার। ২০১৭ সালে হিউ হেফনারের মৃত্যুর পর তাকে সেই কবরেই সমাধিস্থ করা হয়।

তথ্যসূত্রঃ বায়োগ্রাফি
ছবিঃ গুগল    

মন্তব্য করুন

Share Article

আরো পড়ুন

আরো পড়ুন

স্বত্ব © ২০১৬ - ২০২৩ প্রাণের বাংলা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: আবিদা নাসরীন কলি।

Email: Article: [email protected], Avertising: [email protected]

Phone: +8801818189677, +8801717256199