হয়তো তোমারই জন্য…

প্রাণের বাংলা ডেস্ক

এডমিন ডেস্ক, ঢাকা থেকে

প্রকাশ: 7 Sept 2023

4245 বার পড়া হয়েছে

Shoes

সে বহুকাল আগের ঘটনা। কলকাতার বালিগঞ্জে মহা নায়িকা সুচিত্রা সেনের বাড়িতে কোনো এক সন্ধ্যায় বেশ অনেকটাই আবেগে ভেসে যেতে যেতে মহা নায়ক উত্তম কুমার বলেছিলেন, ‘রমা, তোমার সঙ্গে যদি আমার বিয়ে হতো।’ উত্তরে সুচিত্রা বলেছিলেন, ‘‘একদিনও সেই বিয়ে টিকত না। তোমার আর আমার ব্যক্তিত্ব অত্যন্ত স্বতন্ত্র। আর খুব স্ট্রং। সেখানে সংঘাত হতোই। তার ওপর, তুমি চাইবে তোমার সাফল্য, আমি চাইব আমার। এ রকম দুজন বিয়ে করলে সে বিয়ে খুব বাজেভাবে ভেঙে যেত।”

উত্তম-সুচিত্রা জুটি হিসেবে কাজ করেছেন প্রায় ২২ বছর। সম্পর্কটা ছিল খুব গভীর।কিন্তু দুজনের মাঝে ভালোবাসার সেতু কতটা শক্ত ছিল সেটা বলা মুশকিল। এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলেছে গণমাধ্যমে। তবে কিছু একটা কেমিস্ট্রি যে দুজনের মাঝে ছিলো সে কথা বলে দেয়া যায়। ১৯৫৪ সালে ‘অগ্নিপরীক্ষা’ নামে একটি সিনেমার পোস্টার ঝড় তোলে উত্তম-সুচিত্রার সংসার জীবনে। ঝড় তোলা ওই পোস্টারে সুচিত্রার স্বাক্ষরসহ লেখা ছিল ‘আমাদের প্রণয়ের সাক্ষী হলো অগ্নিপরীক্ষা ’

সে সময় ভারতীয় পত্রিকাগুলোতে খবর প্রকাশিত হয়, সেই পোস্টার দেখে উত্তম কুমারের স্ত্রী গৌরিদেবী নাকি সারাদিন কেঁদেছিলেন। আর সুচিত্রাকেও সন্দেহ করতে শুরু করেন স্বামী দিবানাথ। অভিনয় ছেড়ে দিতেও চাপ দেন।এই ঘটনাটা কলকাতার একটি সিনে ম্যাগাজিনে প্রকাশ করেন একজন সাংবাদিক।

১৯৫৪ সালে এ জুটির ৬টি ছবি সুপারহিট হয়। অন্তত ১০টি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন দু’জনেই। স্বাভাবিক কারণেই অভিনয় ছাড়তে রাজি হননি সুচিত্রা। এসব ঘটনা নিয়ে একদিন সুচিত্রা সেনের বালিগঞ্জের বাসায় এক পার্টিতে স্বামী দিবানাথের আক্রমণের মুখেও পড়তে হয় উত্তমকে। এর পর থেকেই দিবানাথের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে সুচিত্রার। এক সময় শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে কলকাতার নিউ আলিপুরে আলাদা থাকতে শুরু করেন এই নায়িকা।

সুচিত্রা উত্তমকে ডাকতেন ‘উতু’ এবং উত্তম সুচিত্রাকে ডাকতেন ‘রমা’ বলে। এ সম্পর্কের মধ্যেও মান-অভিমান, ঝগড়াঝাটি চলত। নানা কারণে দুইজন একসঙ্গে কাজ করেননি অনেকদিন। মাঝে দুইজনের ভুল বোঝাবুঝির কারণে উত্তম কুমার প্রযোজিত ‘সপ্তপদী’ ছবির শুটিং দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল।১৯৫৭ সালে উত্তম কুমার তার প্রযোজিত ‘হারানো সুর ছবিতে নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব দিলে সুচিত্রা বলেছিলেন, ‘তোমার জন্য সব ছবির ডেট বাতিল করব।’

আর উত্তম যেদিন মারা যান সেদিন মধ্যরাতে মালা হাতে তাকে শেষ অর্ঘ্য দিতে এসেছিলেন সুচিত্রা সেন। উত্তম কুমার সম্পর্কে সুচিত্রার মূল্যায়ন ছিল ‘গ্রেট, গ্রেট আর্টিস্ট। তবু মনে হয় তাকে ঠিকমতো এক্সপ্লয়েট করা হয়নি।’

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

ছবিঃ গুগল

মন্তব্য করুন

Share Article

আরো পড়ুন

আরো পড়ুন

স্বত্ব © ২০১৬ - ২০২৩ প্রাণের বাংলা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: আবিদা নাসরীন কলি।

Email: Article: [email protected], Avertising: [email protected]

Phone: +8801818189677, +8801717256199