অরুণার অসম্ভব…

প্রাণের বাংলা ডেস্ক

এডমিন ডেস্ক, ঢাকা থেকে

প্রকাশ: 17 Nov 2023

2780 বার পড়া হয়েছে

Shoes

জীবন তো আর স্বপ্ন নয়। স্বপ্নের চেয়ে বড়ো কিছু।একজন অরুণা বিশ্বাস। আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন,সে স্বপ্নের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন বড়ো পর্দায়।আমাদের অপেক্ষা ছিলো তার পরিচালনার ছবিটি নিয়ে।সেই অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটে এ মাসেরই প্রথম সপ্তাহে। অরুণার মুখে এখন  তৃপ্তির হাসি-‘‘মানুষ হলে গিয়ে ‘অসম্ভব’ দেখছে। হলে দর্শক দিন দিন বাড়ছে।’’

 নিজের ছবি পর্দায় দেখে তার অনুভুতি একেবারে অন্যরকম।বলেন,‘এতদিন অন্যের ডিরেকশনে কাজ করেছি। নিজেও পরিচালনা করেছি

নাটক,টেলিফিল্ম,ডকুমেন্টারি।শুধু এটাই বাকী ছিলো এখন সে ইচ্ছেও পূরণ হলো। ছোট একটা জায়গা দিয়ে কাজটা শুরু করেছি।আশা করি এমন কোনো কাজ দিয়ে ভবিষ্যতে পৃথিবীর বুকেও নাম লেখাতে পারবো।’

ইতোমধ্যে ‘যাত্রাভিশন’ ‘দেশ’ আর ‘সাইরেন’ শিরোনামের আরও দু’টি ছবি করার চিন্তা ভাবনা  করছে   অরুণা বলেন,‘ আমি আশার করছি ছবি দু’টো আমার ভাই মিঠু বিশ্বাস পরিচালনা করবে।’

দেশের অবস্থা এখন প্রতিকূলে । আজ হরতাল তো কাল অবরোধ।একটা অস্থির সময় পার করছি আমরা।অরুনা বলেন,‘প্রতিকূল পরিবেশেও আমি আমার ছবি ‘অসম্ভব’ নিয়ে চারিদিকে আশাব্যঞ্জক মতামত পাচ্ছি।সবাই বলছে ’তোমার কাছ থেকে যা চেয়েছিলাম তুমি আমাদের সে বিশ্বাস রেখেছো। আসলে এটাই আমার অনেক পাওয়া।’

ছবির শিল্পী এবং কলাকুশলী নিয়েও অরুণার কোনো আক্ষেপ নেই। যেন বসন্ত তাকে রং দিয়েছে।তার সুন্দর স্বীকারোক্তি ‘আমার ছবির শিল্পী এবং কলাকুশলী সবাই চমৎকার কাজ করেছে।তারা ভাবেইনি যে এটা যাত্রাভিশনের কাজ। তারা প্রত্যেকে ভেবেছে এটা তাদের নিজেদের কাজ। প্রথম থেকেই ওরা ছবিটার সঙ্গে ইনভলভ হয়ে গেছে।মনে হয়েছে ওরা আমার পরিবারেরই সদস্য। ছবিটা রিলিজের ক্ষেত্রেও ওদের যে সহযোগীতা পেয়েছি। এমন অন্য কোনে ছবির ক্ষেত্রে আগে দেখা যায়নি।আমি আমার শিল্পী এবং কলাকুশলীর প্রতি সত্যি কৃতজ্ঞ।

প্রথম ছবি করতে গেলে অনেকেই নানা রকমের সমস্যায় পড়েন তবে অরুণার ক্ষেত্রে একদম ভিন্ন অভিজ্ঞতা। ছবি করতে গিয়ে কোনো প্রতিকূল অবস্থায় তাকে পড়তে হয়নি।তবে রিলিজ দিতে গিয়ে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে।অরুণা বলেন, ‘ অনুদানের ছবি শুনলে হল মালিকেরা এক ধরণের নাক সিটকান।হলে নিতে চাননা। তবে এটা সম্পূর্ণ তাদের দোষ না। অনেক আগে যারা অনুদানের ছবি বানিয়েছে তারা অনুদানের টাকা পেয়ে কিছু টাকা সরিয়ে রাখতেন ।এতে করে বাজেটের ঘাটতি হতো এবং প্রোডাকশন ভালো হতো না। তাই এমন ছবি লোকে হলে গিয়ে দেখতো না। আর এখন  আমরা যারা অনুদানোর টাকার সঙ্গে ভালো প্রোডাকশন করার জন্য নিজেদের টাকা যুক্ত করি তারা বিপদে পড়ি। আসলে হল মালিকদের বিশ্বাস কমে গেছে অনুদানের ছবির উপর। তাছাড়া বিদেশি ছবি রিলিজও একটা ফ্যাক্টর।তবে বিদেশী ছবি আসুক সমস্যা কি!!এক সময় তো আমাদের ছবির পাশাপাশি উর্দূ ছবিও চলতো তখন তো মানুষজন দেশের ছবিও দেখতো।তাই আমি হল মালিক  এবং প্রশাসনের উদ্দেশে বলবো আপনারা যদি দেশের প্রতি কমিটমেন্টের জায়গায় দাঁড়ান তাহলে আমাদের ছবির প্রতিও মানুষজনের আগ্রহ তৈর হবে।’

নিজের প্রশংসা শুনতে কার না ভালো লাগে। তাই সবশেষে পরিচালক অরুণার কাছে জানতে চাইলাম অনেকেই আপনার ছবির প্রশংসা করছেন এতে আপনার কেমন লাগছে?

আসলে,যে কোনো কাজ করলে ভুলত্রুটি হবেই। আমি একজন মানুষ আমার যে সবকিছু সঠিক হয় এমন তো নয়।তবে কেউ যদি সঠিক সমালোচনা করে তাতে আমারই ভালো, আমি ভুল থেকেই নিজেকে শুধরে নিতে শিখেছি।তবে কেউ ভুল সমালোচনা করলে সেটা ভয়ঙ্কর।আমি কাজকে সম্মান করি।পরিচ্ছন্ন কাজ করতে ভালোবাসি। তাই সারাজীবন মানুষের কাছ থেকে প্রশংসাই পেয়েছি। তবে ভালোর তো শেষ নেই।আমি সৃষ্টিশীল মানুষ যে কোনো কাজ হৃদয় দিয়েই করি।তাই মানুষের ভালোবাসা পাই। ‘অসম্ভব’ ছবির জন্য আমি সবধরণের মানুষের সহযোগীতা পেয়েছি।এমন কি সাংবাদিক ভাই-বোনেরাও আমাকে অনেক সহযোগীতা করেছে এ জন্য আমি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ।

মন্তব্য করুন

Share Article

আরো পড়ুন

আরো পড়ুন

স্বত্ব © ২০১৬ - ২০২৩ প্রাণের বাংলা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: আবিদা নাসরীন কলি।

Email: Article: [email protected], Avertising: [email protected]

Phone: +8801818189677, +8801717256199