অড্রে হেপবার্ন যখন গুপ্তচর

প্রাণের বাংলা ডেস্ক

এডমিন ডেস্ক, ঢাকা থেকে

প্রকাশ: 9 Jan 2025

2965 বার পড়া হয়েছে

Shoes

 প্রখ্যাত অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্ন। তার অভিনয়ের ক্যারিয়ারে পাঁচবার অস্কার মনোনয়োন পেয়েছিলেন। ১৯৫৩ সালে ‘রোমান হলিডে’ সিনেমায় কাজ করে সেরা অভিনয়ের জন্য তার হাতের মুঠোয় ধরা পড়েছিল অস্কার। সেই হেপবার্ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হল্যান্ডে হিটলার বিরোধী প্রতিরোধ বাহিনীর গুপ্তচর হিসেবে কাজ করতেন।

তখন তিনি সদ্য কৈশোরে পা রেখেছেন। বসবাস করতেন ইংল্যান্ডে পরিবারের সঙ্গে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মায়ের সঙ্গে পালিয়ে চলে যান হল্যান্ডে। সেখানে গ্রামের দিকে একটা বাড়ি কিনে তার মা থাকতে শুরু করেন। কিন্তু বিধি বাম। কিছুদিন পরেই জার্মান বাহিনী হল্যান্ডও দখল করে নেয়। অড্রে হেপবার্নের মা  এলা ভ্যান হেমস্ট্রা ছিলেন একজন নাজি সমর্থক। হয়তো বিপদ থেকে রক্ষা পেতেই তিনি তখন মিত্রতা পাতিয়েছিলেন নাজি বাহিনীর সঙ্গে। কিন্তু হেপবার্ন ছিলেন মায়ের সম্পূর্ণ বিপরীতে। তার চাচা কাউন্ট অটো ভ্যান লিমবার্গ ১৯৪২ সালে হল্যান্ডে প্রতিরোধ বাহিনীর অন্যতম সংগঠকদের একজন ছিলেন। তার মাধ্যমেই হেপবার্ন গেরিলা দলের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওঠেন।

তার কাজ ছিলো খবর আদানপ্রদান করা। জার্মানরা সাধারণত ছোট ছেলে মেয়েদের সন্দেহের আওতায় রাখতো না। আর এই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছিলো গেরিলা নেতারা। তারা তাদের নানান সাংকেতিক বার্তা, চিরকুট আর জার্মান বাহিনীর অবস্থানের খবর চালাচালি করতো হেপবার্নের মাধ্যমে।

অড্রে হেপবার্ন হল্যান্ডে ব্যালে নাচের তালিম নিয়েছিলেন। তার নাচ প্রশংসিতও হয়েছিলো। জার্মানরা হল্যান্ড দখল করে নিলে তারা হল্যান্ডের শিল্পীদের নাজি শিল্পী ফোরামে যোগদানের নির্দেশ দেয়। হেপবার্নের তখন পনেরোতে পা। জার্মান দখলদাররা নির্দেশ জারি করে, যে সব শিল্পীরা তাদের ইউনিয়নে যোগ দেবে না তারা প্রকাশ্যে আর কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবে না। হেপবার্ন তখন নাচ ছেড়ে দিয়েছিলেন প্রতিবাদে।
অভিনেত্রীর কন্যা ডটি জানান, তখন তার মা জঙ্গলের ভিতরে একটি পরিত্যক্ত খামার বাড়িতে ব্যালে নাচের আয়োজন করতেন। খুব গোপনে, শুধু মোমবাতির আলোতে তিনি নাচের অনুষ্ঠান করতেন। বাইরে থেকে কেউ যাতে শুনতে না পায় সেজন্য নিচু স্বরে পিয়ানো বাজানো হতো শুধু। আর কোনো বাজনার ব্যবস্থা ছিলো না। ডটি সাংবাদিকদের জানান, সামান্য কিছু দর্শক টাকা দিয়ে তার মায়ের নাচ দেখতে আসতো। সেই অর্থ প্রতিরোধ বাহিনীর কাছে পাঠিয়ে দেয়া হতো।

তথ্যসূত্রঃ বিবিসি কালচার
ছবিঃ গুগল

মন্তব্য করুন

Share Article

আরো পড়ুন

আরো পড়ুন

স্বত্ব © ২০১৬ - ২০২৩ প্রাণের বাংলা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: আবিদা নাসরীন কলি।

Email: Article: [email protected], Avertising: [email protected]

Phone: +8801818189677, +8801717256199